INDIA লড়বে। সেই লড়াইয়ে সৈনিকের ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জেতাতেই হবে INDIA-কে। কারণ বিজেপির ললাটে পরাজয়ের কলঙ্কটিকা মানেই ভারতাত্মার জয়শঙ্খের নাদ। বিজেপির হার মানেই ভারতের জয়। তাই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সকে আগামী সাধারণ নির্বাচনে জেতাতেই হবে।
এটাই এই একুশের বার্তা।
এটাই এই একুশের পথনির্দেশিকা।
২০২৪-এ নব ভারতের জন্ম হবে। কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত হবে বিজেপি। যারা মানুষে মানুুষে বিভাজন সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধাতে পারঙ্গম। যারা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে শকুনের ভূমিকা পালন করে।
এটাই এই একুশের অনিবার্যতা।
এটাই এই একুশের আগামীর ইঙ্গিত।
‘বেটি বাঁচাও’-এর স্লোগান দিয়েছিল যারা পশ্চিমবঙ্গের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে, তাদেরই সৌজন্যে মণিপুরে মা-বোনের ইজ্জত আজ ধূল্যবলুণ্ঠিত। মূল্যবৃদ্ধি বেলাগাম। সাধারণ মানুষ সেই আগুনে দগ্ধ হচ্ছে রোজ বাজারে। তাদের এবার দিল্লির মসনদ থেকে ছুঁড়ে ফেলতেই হবে। নইলে ভারত বাঁচবে না।
এটাই এই একুশের আহ্বান।
এটাই এই একুশের শপথ।
তিন দশক আগে একুশে জুলাই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে এক প্রতিবাদ আন্দোলনে গর্জে উঠেছিল বাংলা। গ্রাম দিয়ে মহানগর ঘিরে ফেলেছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্র-যুবরা। জনসমুদ্র দেখে আতঙ্কিত অত্যাচারী শাসকের পুলিশ সেদিন নিরীহ ছাত্রযুবকে হত্যা করে গণহত্যার হোলি খেলেছিল।
এই ঘটনা সংঘটনের সময় শাসক দলের রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল প্রশ্নাতীত। ২৯৪টির মধ্যে ২৪৪টি আসনের অধিকারী ছিল তারা। সেই সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই অপশাসনে গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছিল। রাজ্যের অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল শাসক দলের হার্মাদরা। পার্টি অফিস থেকে নিয়ন্ত্রিত হত জনজীবন। জ্যামিতিক হারে বাড়ছিল বেকারের সংখ্যা। পাটিগাণিতিক হারে বাড়ছিল লোকাল কমিটির নেতাদের দাপট। গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে বাংলায় সেদিন কায়েম হয়েছিল স্বৈরতান্ত্রিক শাসন।
সেই শাসনের লৌহকপাট ভেঙে বাংলার বুকে তিমির-বিদারী উদার অভ্যুদয় নিশ্চিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ, তিন দশক বাদে, ভারতের সামগ্রিক চিত্রটাও সেদিনকার বাংলার মতোই। সংসদে বর্তমান শাসক পক্ষের সাংসদ সংখ্যার নিরিখে দাপট প্রশ্নাতীত। কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিদিন, দেশের আনাচে-কানাচে। মধ্যপ্রদেশ থেকে মণিপুর— সর্বত্র। দেশের নানা প্রান্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গেরুয়া পক্ষের ভৈরববাহিনী। ধর্মের নামে নির্যাতন, নিগ্রহ, হিংসা অব্যাহত। বেকারের সংখ্যা সর্বকালীন রেকর্ড। গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে সারা দেশে সংখ্যাগুরুর স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করতে চাইছে আজকের শাসক শিবির।
সেই অপশাসনের অবসান ঘটানোর ডাক দিয়ে গেল এই একুশ।
‘ইন্ডিয়া’র মুখে ‘জিতেগা ভারত’ আওয়াজ জুগিয়ে দিয়ে গেল এই একুশ।
রাজ্যের দাবি আদায়ে ‘দিল্লি চলো’র ডাক শোনা গেল নেত্রীর গলায়। সেনাপতি জনবিরোধী রাজনীতির পান্ডাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন।
তিমির-বিনাশী অভ্যুদয়ের প্রতীক্ষায় গোটা দেশ। আনন্দের আলোকে মঙ্গল আলয়ে শাশ্বত ভারতচেতনাকে প্রতিষ্ঠার জন্য মঙ্গলশঙ্খ আবার উঠেছে বেজে।
এই ডাকে সাড়া দিতেই হবে।
স্বদেশকে বাঁচানোর জন্য।
আরও পড়ুন- সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত ২ তৃণমূল কর্মী