প্রতিবেদন : ভারতীয় সংস্থার তৈরি চোখের ড্রপ (Eye Drop) ব্যবহার করে এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠতেই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মহলে হইচই শুরু হয়েছে। ঘটনার জেরে চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় শুক্রবার গভীর রাতেই হানা দেয় তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির সদস্যরা। ইতিমধ্যেই ওই কারখানায় চোখের ওষুধ তৈরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্লোবাল ফার্মা হেলথ কেয়ারের তৈরি চোখের ওষুধ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার গভীর রাতে গ্লোবাল ফার্মা হেলথ কেয়ারের কারখানায় হানা দেওয়ার পর তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার পি ভি বিজয়লক্ষ্মী বলেছেন, আমেরিকায় ওই চোখের ড্রপের যে ব্যাচ পাঠানো হয়েছিল তার নমুনা তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। যে কাঁচামাল দিয়ে ওযুধ তৈরি করা হয় তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁরা এখন আমেরিকা থেকে নমুনা আসার অপেক্ষা করছেন। বিজয়লক্ষ্মী আরও জানান, আমেরিকায় যে ওষুধগুলি ব্যবহার করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত ওষুধ খোলা হয়নি, তার পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। ওই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। শুক্রবারের তল্লাশি নিয়ে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট সরকারকে জমা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, ওই চোখের ড্রপ (Eye Drop) ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। সংক্রমণের জেরে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। ঘটনার জেরে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ও আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওই চোখের ড্রপের আমদানি বন্ধ করেছে।