রোসেউ, ১৩ জুলাই : ডমিনিকা উৎসবের দেশ। সবসময় কিছু না কিছু লেগেই থেকে। এখন যেমন ক্রিকেট। কিন্তু মাঠে লোক নেই! ক্যারিবিয়ানদের টানা ব্যর্থতায় লোকে ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়েছে। ব্যর্থতার পর্ব অবশ্য অব্যাহত। দ্বিতীয় দিন চায়ের সময় ভারত ২৪৫/২। লিড ৯৫ রানের। এখান থেকে ভারতের রান যত এগোবে, ততই চাপে পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India- West Indies)।
উইন্ডসর পার্কে প্রথম দিনই ম্যাচের রাশ রোহিতদের হাতে চলে এসেছিল। বৃহস্পতিবার রোহিতদের মুঠো আরও শক্ত হল। এরকমই যে কিছু একটা হাতে পারে সেটা কিন্তু আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। ওভালে টেস্ট ফাইনালে হারের পর প্রাক্তনদের কেউ কেউ বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জার হারের স্মৃতি অতঃপর কার্পেটের তলায় চলে যাবে। ফের হয়তো হই হই হবে ক্যারিবিয়ান জয় নিয়ে! কিন্তু এই সফর ভারতীয় ক্রিকেটকে কতটা এগিয়ে দেবে?
তবে যশস্বী জয়সোয়ালের মতো তরুণের কথা ধরলে এগিয়ে তো দিলই। মুম্বই তরুণ আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই সুযোগ দু’হাতে লুফে নিয়ে এদিন জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। তাও আবার অভিষেক টেস্টেই। কী অদ্ভুত মিল এক কিংবদন্তির সঙ্গে। ‘৭১-এ ২১ বছর বয়সে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন সুনীল গাভাসকর। একুশের যশস্বীও রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে এসে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। সামনে লম্বা ভবিষ্যৎ।
সকালে আগের দিনের ৮০/০ নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন রোহিত ও যশস্বী। দেখা গেল ছবিটা অবিকল আগের দিনের মতোই। ক্যারিবিয়ান বোলিং সকালের দু’ঘন্টায় তো বটেই, তারপরও কিছু করতে পারেনি। লাঞ্চের পর প্রথম ড্রিংকস পার করে যশস্বী নিজের সেঞ্চুরিতে পৌঁছলেন। আথাঞ্জেকে শর্ট আর্ম পুল মেরে ১০০-তে পৌঁছে যান তিনি। ভারতের ১৭তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। তিনি যখন সেঞ্চুরি করলেন, তখন উল্টোদিকে দাড়িয়ে এমন একজন, টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন তিনিও। ইনি রোহিত শর্মা। ২০১৩-তে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India- West Indies) বিরুদ্ধে ১৭৭ রান করেছিলেন তিনি।
যশস্বীর পর সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। এক্সট্রা কভার বাউন্ডারিতে বল পাঠিয়ে টেস্টে ১০ নম্বর সেঞ্চুরি পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু তারপরই আথাঞ্জেকে উইকেট দিয়ে এলেন রোহিত (১০৩)। ভারতের প্রথম উইকেট পড়েছে ২২৯ রানে। এরপর তিনে নামা শুভমন গিল আউট হয়ে যান ৬ রান করে। ওয়ারিকানের বলটা যতটা ঘুরেছে তাতে অশ্বিন দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। তবে এখনকার শুকনো উইকেটে বল যে ঘুরবে সেটা আগে থেকেই আন্দাজ ছিল। চায়ের ঠিক আগে দিনের প্রথম সাফল্য পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
আরও পড়ুন- বাইডেনের বেফাঁস মন্তব্যে ফের বিতর্ক