প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি দেশে কর্মসংস্থানের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কর্মসংস্থান তো দূরের কথা, তাঁর সরকারের আমলে দেশে বেকারত্ব রেকর্ড (India’s unemployment rate) সীমায় পৌঁছেছে যা সমানে এনেছে মোদি সরকারের ব্যর্থতাকে। গত তিন বছর করোনা আতঙ্কে কাটিয়েছে গোটা দেশ। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে ২০২৩ সালে ভাল কিছু খবর শোনার অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনেই এল দুঃসংবাদ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশে বেকারের সংখ্যা ফের অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১৬ মাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইকোনমির রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে দেশে বেকারের হার ছিল ৮ শতাংশ। ডিসেম্বরের শেষে সেটা বেড়ে ৮.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে রকেট গতিতে বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। সিএমআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের নভেম্বরে শহরাঞ্চলে কর্মহীনের হার ছিল ৮.৯৬ শতাংশ। সেটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.০৯ শতাংশ। তবে শুধু শহর নয়, বেকারত্ব বেড়েছে গ্রামঞ্চলেও।
আরও পড়ুন-যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অস্তিত্বকে সুনিশ্চিত করতে হবে
সেন্টার ফর মনিটরিং ইকোনমির ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, দেশজুড়ে বেকারের সংখ্যা (India’s unemployment rate) উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের নিরিখে সেটা তেমন ভয়াবহ কিছু নয়। তবে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল সর্বত্র বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতিকেই দায়ী করেছেন মহেশ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, করোনা, আর্থিক মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক কারণে গোটা বিশ্বের আর্থিক অবস্থাই টালমাটাল। তার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। সে কারণেই বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদি সরকার কর্মসংস্থান তৈরি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দেশে যেভাবে শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যা বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না কর্মস্থান। দেশে বিনিয়োগ থমকে আছে। মোদি সরকার বিদেশি বিনিয়োগও টানতে ব্যর্থ। এ সবের জেরেই দেশে বেকারত্ব রেকর্ড সীমায় পৌঁছেছে। রাহুল গান্ধি তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে দেশ জুড়ে কর্মহীনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জিডিপির হার বৃদ্ধি না পেলে কোনও অবস্থাতেই দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা যাবে না।