প্রতিবেদন : এখন থেকে রাজ্যের যে কোনও জেলাতেই শিল্পপার্ক তৈরি করা যাবে ন্যূনতম ৫ একর জমিতে। এতদিন এর ন্যূনতম সীমা ছিল ২০ একর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ দিতে নীতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার গৃহীত হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভায়। এর আগে কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় জমির ন্যূনতম সীমা শিথিল করে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যের যে কোনও জেলায় ৫ একর জমি নিয়ে শিল্পপার্ক তৈরি করলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা উৎসাহ ভাতা প্রকল্পের আওতায় আসবেন।
আরও পড়ুন : সকাল ৭টায় এবার মেট্রো
শিল্পপার্ক সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে দু একর এবং অন্যান্য জায়গায় ৫ একর বা তার বেশি জমির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার উৎসাহ ভাতা দিচ্ছে। একসঙ্গে নতুন কিছু শিল্পকে প্রকল্পস্বরূপ এই ভাতার আওতায় আনা হয়। হিমঘর, পোল্ট্রি-মৎস্য চাষ, গুদাম ইত্যাদি শিল্পক্ষেত্রকেও এবার উৎসাহ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রগুলিকে তাদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার নিয়মেও বদল আনা হয়। আগে শিল্পপার্কগুলির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর তাদের উৎসাহ ভাতা দেওয়া হত। ইদানীং সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তিন ধাপে ২০, ৩০ ও ৫০ শতাংশ হারে এই উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে, ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে ১০০টি শিল্পপার্ক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য উৎসাহ ভাতা নীতিতে বদল আনার পাশাপাশি দমকল, পরিবেশ-সহ বিভিন্ন দফতরের ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করতে এক ‘জানালা ব্যবস্থা’ চালু করা হয়েছে।