প্রতিবেদন : অমানবিক কাণ্ড বিজেপি শাসিত রাজ্যে৷ হাসপাতালে মৃত রোগীর জন্য শববাহী যান মেলেনি৷ বাধ্য হয়ে তাই আত্মীয়ার মরদেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলেন মহিলারাই৷ এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার। অভূতপূর্ব দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চারজন মহিলা খাটিয়া করে একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে চলেছেন। তাঁদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁরা রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন সেখান থেকে শববাহী যানের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এরপর তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও তাঁদের বিফল হতে হয়। বাধ্য হয়ে তাঁরা খাটিয়াতে মৃতদেহ চাপিয়ে নিজেরাই তা কাঁধে বয়ে নিয়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। ওই খাটিয়াতেই অসুস্থ আত্মীয়াকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছিল৷
আরও পড়ুন-সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও দলিতদের লাঞ্ছনা, সংসদে কেন্দ্রের তথ্যেই বেআব্রু মোদি জমানা
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই যথারীতি নেটিজেনরা সমালোচনায় মুখর হয়েছে। যদিও মধ্যপ্রদেশের প্রশাসন নির্বিকার৷ তাদের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনার কী আছে? এটা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়।
জানা গিয়েছে, অসুস্থ এক আত্মীয়াকে চিকিৎসার জন্য রায়পুরের এক হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ওই চার মহিলা। কিন্তু মাঝপথেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ওই মহিলা মারা যান। কিন্তু মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাঁদের কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়নি।
আরও পড়ুন-দলিত–তথ্যই নেই!
যদিও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বি এল মিশ্রর পাল্টা দাবি, তাঁরা মৃতদেহ ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী যানের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ওই মৃতার আত্মীয়রা অপেক্ষা না করে নিজেরাই দেহ নিয়ে চলে যান। মিশ্র আরও দাবি করেন, এত সামান্য ঘটনা নিয়ে এত হইচই করার কিছু হয়নি। তাঁদের এলাকায় শববাহী যান পাওয়া খুবই কঠিন। মানুষ এভাবেই মৃতদেহ নিয়ে যায়। এটাই এখানে স্বাভাবিক৷ স্বাস্থ্য আধিকারিকের ওই বক্তব্যের ভিডিও সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় আরও তীব্র হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা? প্রশাসনের আচরণে মানবিকতার লেশটুকুও নেই! উল্টে এই বেনজির ঘটনার সাফাই দিচ্ছে প্রশাসন৷