প্রতিবেদন : হস্তশিল্পীদের এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর আয় বাড়াতে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় গ্রামীণ মেলা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে এই মেলা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় দেখে ১৫ মার্চের মধ্যেই সেই সব মেলার আয়োজন সেরে ফেলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। মূলত রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কারিগর এবং তাঁতিদের তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্যই এই মেলা আয়োজনের নির্দেশ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ শুরু কুম্ভমেলা মঙ্গলে শাহি স্নান
গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শিলিগুড়ি, বোলপুর ও দুর্গাপুর এই ৩ শহরে আঞ্চলিক মেলার আয়োজন করা হবে। তবে সেই ৩ মেলা জেলার মেলাগুলির সঙ্গে আয়োজিত হবে না। জেলার মেলা শেষ হয়ে গেলে তখন এই ৩ জায়গায় রিজিওনাল মেলার আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, রাজ্য বাজেটেই রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি কারিগর এবং তাঁতিদের কল্যাণে একাধিক সুবিধা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন উপজাতি সদস্য দ্বারা পরিচালিত লোকাল এরিয়া মাল্টিপারপাস সোসাইটি বা ল্যাম্পস-এর অন্তর্ভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-কাল ঘরের মাঠে সামনে মুম্বই, দলের ভুল নিয়ে কুয়াদ্রাতের ক্ষোভ
রাজ্যের এই রকম ১০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছে। এর জন্য বাজেটে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। এর ফলে ১ লক্ষেরও বেশি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা উপকৃত হবেন। আবার কারিগর এবং তাঁতিদের কল্যাণে যন্ত্রপাতি কেনা, শেড নির্মাণ এবং বিপণনের জন্য একজন কারিগর এককালীন ১৫ হাজার টাকা এবং শিল্প সমবায় সমিতি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ২ লক্ষ কারিগর এর আওতায় আসছেন। এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। আগামী ৪ বছরে আরও ৮ লক্ষ কারিগর এর আওতায় আসবেন।