প্রতিবেদন : দীর্ঘযুদ্ধে রাশ টানার উদ্যোগ? ইউক্রেনের (Ukraine- Russia war) মাটিতে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তারপর থেকে ১ বছর ৯ মাস ধরে লাগাতার যুদ্ধ চলছে দু’দেশের মধ্যে। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছিল জো বাইডেন সরকার। এমনকী অস্ত্রশস্ত্র দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছিল। তবে এবার ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানির সঙ্গে জোট বেঁধে আমেরিকাই চায় ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে আসুক! এই ইঙ্গিত দিয়েছে জার্মানির এক সংবাদমাধ্যম।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ‘বিআইএলডি’-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি এই যুদ্ধ ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছে। লোকক্ষয়, সম্পদ নষ্ট ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কিয়েভকে সমর্থন করা এবার নেটো দেশগুলির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণেই আমেরিকা এবং জার্মানি জেলেনস্কি সরকারকে যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। জানা গিয়েছে আগেই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকায় এই ইস্যুতে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। সেই বৈঠকে বাইডেন এবং ওলাফ উভয়েই নাকি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্যও নাকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর পরোক্ষভাবে চাপ দিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- মুক্তির পর সামনে আসছে হামাসের নির্যাতনের নমুনা
ইউক্রেনকে (Ukraine- Russia war) লাগাতার অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দুই দেশ আমেরিকা এবং জার্মানি এখন শুধুমাত্র ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ’ অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় ইউক্রেনকে। যাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য যাতে পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে, সেই অবকাশ রাখতেও ইউক্রেন সেনাবাহিনীর হাতে বেশি অস্ত্র তুলে দিতে রাজি নয় আমেরিকা এবং জার্মানি। সরকারি সূত্র জার্মানির ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ইউক্রেনের উচিত ‘সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ নিয়ে রাশিয়ার শাসক ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসা। হোয়াইট হাউস এবং চ্যান্সেলর বিষয়টি দেখছেন। যুদ্ধ যেভাবে চলছে এভাবে সব কিছু চলতে পারে না। কিয়েভ এবং মস্কো যদি আলোচনায় বসতে রাজি না হয়, তা হলে দুই দেশের মধ্যে কোনওদিন সমস্যার সমাধান হবে না। দুই সরকারের মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তিও হবে না। তবে আমেরিকা ও জার্মানি যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা বললেও ইউক্রেন কতদূর সম্মত হবে তা অনিশ্চিত।