প্রতিবেদন : মেলেনি প্রমাণ। মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল। আর খালাস পেতেই শুক্রবার ফের চেনা মেজাজে পাওয়া গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। আদালত থেকে বেরিয়ে বললেন, সত্যের জয় হল। খালাস পাওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না, সব মামলাতেই নিশ্চয়ই একদিন জেল থেকে ছাড়া পাব। আজ আমাদের বেকসুর খালাস করল আদালত। সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। আমার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিল। আজ মহামান্য আদালতের রায়ে আমরা বেকসুর খালাস পেলাম। এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পরবর্তী মামলাতেও কি এভাবেই মুক্ত হবেন? তাতে আত্মবিশ্বাসী উত্তর অনুব্রতর, আমি কি কিছু অন্যায় করেছি নাকি? খালি দেখতে থাকুন কী কী হয়।
আরও পড়ুন-আদিবাসী মেয়েদের তিরন্দাজিতে সাড়া
এর আগে শুক্রবার তথ্যপ্রমাণের অভাবে অনুব্রত মণ্ডল-সহ অভিযুক্ত বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। এদিন সকালে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দিদি পাশে আছেন এটাই এনাফ।’’ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হবে। ভাল ভাবেই ভোট হবে। মানুষ শান্তিতে ভোট দেবেন। আর এবারের ভোটেও তৃণমূল জিতবে, আত্মবিশ্বাসী গলায় বলেন অনুব্রত মণ্ডল। বাম আমলে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের মল্লিকপুরে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। ওই বছরই অক্টোবরে চার্জশিট দেয় মঙ্গলকোট থানা। তাতে অনুব্রত মণ্ডল-সহ ১৫ জনের নাম ছিল। এই মামলায় অনুব্রতর সঙ্গে অভিযুক্ত ছিলেন আরও ১৪ জন। প্রত্যেককেই এদিন বেকসুর খালাস করল আদালত।