নয়াদিল্লি : ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি অথবা বিচারব্যবস্থার বদলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠছে ‘এনকাউন্টার’ (Encounter)। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ পালনের অমৃত মহোৎসবকালে সংবিধান রক্ষার শপথ নেওয়া বিজেপির মন্ত্রীরা প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন এনকাউন্টারের (Encounter)। খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই এই সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য তাঁকে জেলেও যেতে হয়। দেশে মোদি জমানায় এখন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের ভরসা বেআইনি পথে এনকাউন্টারের হুমকি। যা পুরোপুরি অসাংবিধানিক। ২০১৭ সালে প্রকাশ্যে এনিয়ে হুমকি শুরু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২০২১ সালে অসমে যোগী আদিত্যনাথের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা হুঙ্কার দেন এনকাউন্টারের। শুক্রবার গুয়াহাটি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থবাহী মামলার শুনানিতে জানা যায়, বিগত ১৩ মাসে ১৬১টি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের, আহত শতাধিক। এবার ‘এনকাউন্টার’ পদ্ধতিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার হুঙ্কার শোনা গেল দক্ষিণের বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটক থেকে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, দেশবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলা করতে ‘যোগী মডেল’ অনুসরণ করতে আমরা প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এনকাউন্টার শব্দটি না বললেও, তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ডাঃ সিএন অশ্বথনারায়ণ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কর্নাটক সরকার অপরাধীদের মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঁচধাপ এগিয়ে যাবে এবং তারা এনকাউন্টার চালাতে প্রস্তুত। তাঁর কথায়, এখন এনকাউন্টারের পালা। অপরাধীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করতে এই পথে আমরা উত্তরপ্রদেশের থেকে পাঁচ ধাপ এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: অভিষেকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন, সরকারি মধ্যস্থতায় ধানসিঁড়ি পেট্রো কেমিক্যালে বেতনচুক্তি