সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র না আসায় অচলাবস্থা জারি বিশ্বভারতীতে। এখনও পর্যন্ত কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ এবং আধিকারিক অশোক মাহাতো সবাই আটকে আছেন। ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কলকাতা উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যদিও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন-পুরভোটে নজরকাড়া জয় মহিলাদের
তবে পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। সেই সঙ্গেই বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, বিশ্বভারতীর দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা দিতে পারবে না আন্দোলনকারীরা। কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ আটকানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আদালতে ছাত্র সোমনাথ সৌ সহ অজ্ঞাত দেড়শো জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলছে। সোমনাথ সৌয়ের আইনজীবী সামিম আহমেদ জানান, এই আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর মক্কেল কোনওভাবেই জড়িত নন। এই আন্দোলন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। জানা গিয়েছে, আদালতের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনও মতপার্থক্য নেই। সবাই চান পঠন-পাঠন চলুক।
আরও পড়ুন-কোচবিহার সবুজ নিশ্চিহ্ন গেরুয়া শিবির
দূর-দূরান্তের পড়ুয়ারা সবাই ক্লাস করুক। তার জন্য হস্টেল-ক্যান্টিন খোলা দরকার। পাশাপাশি প্রায় সব ক্লাসই অনলাইনে হয়েছে। পরীক্ষা অনলাইনে হোক। যে কারণে তৃতীয় এবং পঞ্চম সেমেস্টার অনলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা কাউকে ঘেরাও না করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। আদালতের নির্দেশ মেনেই দশদিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেবে পড়ুয়ারা। সেখানে হস্টেল খোলা সহ তাঁদের তিন দফা দাবির উল্লেখ থাকবে।
উপাচার্য এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। দূর থেকে অধ্যাপকদের একেক সময় একেকরকম নির্দেশ দিচ্ছেন। যার নিন্দায় মুখর হয়েছেন আশ্রমিকরা। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এভাবে দূর থেকে সমস্যা সমাধান করা যায় না।