প্রতিবেদন : ডোনেশনের নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়া যাবে না। কোনও ঠিকাদার সেই সংস্থায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোনও পদে থাকতে পারবেন না। শতকরা একশো শতাংশ স্বচ্ছভাবে চলবে আইএনটিটিইউসি-র সংগঠন (INTTUC Organisation)। হলদিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বার্তা দিয়েছিলেন, রবিবার কল্যাণীর সভা থেকে সেই ভাষাতেই সবাইকে সতর্ক করে দিলেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে আয়োজিত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সম্মেলন মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ভাষায় একথা জানিয়ে দিল আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে এদিন সুইগি, জোমাটোর মতো সংস্থার কর্মীদের জন্য আইএনটিটিইউসি-র ছাতার তলায় একটি নতুন সেল খোলার কথাও ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুকে কোণঠাসা করতে সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, শ্রমিক স্বার্থ সবার আগে। তার সঙ্গে কোনও আপস নয়। তারপরই আসরে নামেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাউকে রেয়াত করা হবে না, এই বার্তা দিয়ে হলদিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এদিন সেই সুরেই কল্যাণীতে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক নেতারা। রবিবার সকাল থেকেই ঋত্বিক সদনে শ্রমিকদের জমায়েত শুরু হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনামতো এদিনের সভার মূল বক্তা ছিলেন স্থানীয় শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা। তাঁদের কথায় উঠে আসে নানা সমস্যার কথা। এদিন মোট ২৭ জন শ্রমিক বক্ততা করেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সজল দে, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা শক্তিপদ মণ্ডল-সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলনেত্রীর নির্দেশ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনামতো শতকরা একশো শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গে চলবে আইএনটিটিইউসি (INTTUC Organisation)। সেই সঙ্গে আগামিদিনে শ্রমিক সংগঠনের সভায় বক্তা হবেন শ্রমিকরা, নেতারা শুনবেন।
দু’-একজন শ্রমিক নেতার জন্য হাজার হাজার শ্রমিককে বঞ্চিত করা যাবে না। তাঁদের তৈরি ঘুঘুর বাসা ভাঙা হবেই। কুণাল তাঁর ভাষণে ২১ জুলাইয়ের সভাকে সফল করার ডাক দেন। সভার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। কেন আজ গোটা দেশ বাংলার দিকে তাকিয়ে আছে তারও ব্যাখ্যা দেন কুণাল। এদিন একই সঙ্গে আরপিএফের জুলুমবাজির বিরুদ্ধেও সরব হন হকাররা। এর প্রতিবাদে খুব শীঘ্রই জেলায় একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজনের কথা ঘোষণা করা হয়। সভার দিনক্ষণ পরে জানানো হবে।
দলের সভার নামে বা মিটিং, মিছিলের নাম করে কথায় কথায় শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা তোলা যাবে না।
কোনও সংস্থার কোনও ঠিকাদার সেই সংস্থায় আইএনটিটিইউসি-র কোনও পদে থাকতে পারবেন না।
ভুয়ো শ্রমিক ও শ্রমিকদের সংখ্যায় কারচুপি বন্ধে কর্মী নিয়োগে একশো শতাংশ স্বচ্ছতা রাখতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। শ্রম দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করতে হবে।
ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কর্মীদের দাবি -দাওয়া বা চার্টার অফ ডিমান্ড নিয়ে বৈঠকে সংস্থার শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বাধ্যতামূলক ভাবে থাকবেন।