প্রতিবেদন : এক ফোনেই মুশকিল আসানের দিশা। সৌজন্যে ‘এক ডাকে অভিষেক’। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর পরিজনদের বাড়তি বিল করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল বজবজের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলতে থাকায় এবার ফোন গেল ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর নম্বরে।
আরও পড়ুন-বেলুড়মঠে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি
অভিষেকের দফতরে অভিযোগ জমা পড়ায় কাজ হল ম্যাজিকের মতো। বজবজ থানার অন্তর্গত ওই বেসরকারি হাসপাতালে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হলেন স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য। কয়েকটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপও করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবারে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত তদন্ত শুরু করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন-আজীবন সাহিত্য-স্বীকৃতি
অভিযুক্ত ওই হাসপাতালে মেডিক্লেম ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি নেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পরিজনদের উপর বাড়তি বিল চাপানো হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নির্দিষ্ট কিছু টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে। এর পরের টাকা রোগীর পরিজনদের দিতে হবে। সমস্ত রোগীর চিকিৎসার পর পরিজনদের কাছ থেকে নানা খাতে বাড়তি টাকা নিচ্ছিল ওই হাসপাতাল। রোগী পরিবার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী ভর্তি সময় যে ফর্ম ফিলাপ করা হয় তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এই ঘটনার জেরেই রোগীর পরিজনের তরফে ফোন যায় ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর নম্বরে। এরপরই তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন স্বাস্থ্যসাথী দফতরের ৫ সদস্যের আধিকারিক। খতিয়ে দেখা হয় হাসপাতালে সমস্ত নথিপত্র। আধিকারিকদের নির্দেশ স্বাস্থসাথী নিয়ে বেনিয়ম চলবে না।

