সংবাদদাতা, এগরা : অবৈধ বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগকে কটক থেকে গ্রেফতার করার পর এবার তদন্তকারীরা যে প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তা হল, খাদিকুলের কারখানায় মজুদ বাজির মশলায় আগুন লেগেই বিস্ফোরণ ঘটে, নাকি বোমা বানাতে গিয়ে উড়ে গিয়েছে গোটা কারখানাটি এবং বিস্ফোরণের তীব্রতাই বা কতটা ছিল। এ জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সংগ্রহ করা নমুনা ও মতামতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সিআইডি।
আরও পড়ুন-ব্যবসার জন্য ২৫০ কোটির তহবিল
কারখানায় বিস্ফোরণের পর কুণ্ডলী পাকিয়ে সাদা ধোঁয়া আকাশে উড়ে যেতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের তোলা মোবাইলের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। সেই মাশরুম ক্লাউড বা ধোঁয়ার মেঘের ছবি ও ভিডিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। রাজ্য ও জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের পর সাদা ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। সাধারণত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় রাসায়নিক থাকলে ধোঁয়া সাদা হয় না। এ-ছাড়াও দেখা গিয়েছে মাশরুম ক্লাউড, যা বদ্ধ ঘরে বিস্ফোরণ হলে তৈরি হয়। এ-ছাড়া মৃত ও আহতদের দেহে পোড়া দাগ রয়েছে। তবে স্পিলন্টার বা শার্পনেলের কোনও আঘাত খুঁজে পায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন-আমন্ত্রিত তৃণমূলনেত্রীও
সিআইডির দাবি, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হবেন কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল। সেই লক্ষ্যে মাপ শুরু হয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীরা অনুমান করতে পারবেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত ছিল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে উড়ে যাওয়া কারখানার কঙ্কালসার পরিকাঠামোও। তা থেকেও তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের তীব্রতা মাপতে সহায়তা পাবেন। সব কিছু খতিয়ে দেখার পরই স্পষ্ট হবে, ওই কারখানায় কেবল বেআইনি আতশবাজি বানানো হত, নাকি তার আড়ালে বোমা তৈরি হত?