প্রতিবেদন : আবার ফাঁসি ইরানে। তিন পুরুষ ও এক মহিলাকে দেশদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসি দিয়েছে ইরানের মৌলবাদী সরকার। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে এক মহিলা-সহ চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে ইরান প্রশাসন। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হয়নি। শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ইরানের সংবাদ সংস্থা ‘মিজান’। যে চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, বাফা হানারেহ, আরাম ওমারি, রহমান পারহাজো ও নাসিম নামাজি। ইরানের অভিযোগ, এই চারজন ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন-যৌন.নিগ্রহের পর দ.লিত কিশোরীকে ফেলা হল গরম তেলের কড়াইয়ে!
ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা নাসের আতাবাতি জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত চারজন ইরানের গোপন তথ্য ফাঁস করার চুক্তিতে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের থেকে অর্থসংগ্রহ করেছেন। মোসাদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে তাদের যোগাযোগ হত বলে অভিযোগ। তাঁরা নিজ প্রদেশের পাশাপাশি তেহরান এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশে নাশকতামূলক তৎপরতা চালায় বলেও অভিযোগ ইরান সরকারের। এই অপরাধে ২০২২ সালের অক্টোবরে তাঁদের আটক করা হয়। কার্যত একতরফা বিচারে তাদের ফাঁসির সাজা শোনানো হয় এবং তা দ্রুত কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন-চোরা.চালানের দায়ে গ্রেফ.তার বিজেপি সাংসদের ভাই
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলকে আদৌ স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় না ইরান। দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান-বেলুচিস্তানে মোসাদের হয়ে কাজ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চারজনকে ফাঁসি দেয় ইরান। তাদের ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটাস গ্রুপ জানায়, চলতি বছর ইরানে ছ’শতাধিক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। গত আট বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৫ সালে ইরানে ৯৭২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরা করা হয়।