সংবাদদাতা, দিঘা : বর্ষার মরসুম শুরুর আগেই ফের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হল দিঘার মেরিন ড্রাইভ। রামনগর ১ ব্লকের পদিমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মুকুন্দপুর এলাকায় ভাঙন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দ্রুত এলাকায় যান কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য, রামনগর ১ ব্লকের বিডিও লিপন তালুকদার, সংশ্লিষ্ট পদিমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উত্তম দাস, সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার-সহ অন্য আধিকারিকরা। ২০২১ সালের মে মাসে ইয়স সাইক্লোনে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিঘা, তাজপুর, চাঁদপুর এলাকার মেরিন ড্রাইভ ও সমুদ্রবাঁধ। বাঁধ উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সংলগ্ন গ্রামগুলো।
আরও পড়ুন-গরু পাচারে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তৃণমূলের
সেই সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকা। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সিসি ব্লক পিচিংয়ের পরিকল্পনা নেয় সেচ দফতর। কিন্তু সেই কাজ শুরুর আগেই ফের দুই-একদিনের জলোচ্ছ্বাসের জেরে এলাকার ১৫০ মিটার মেরিন ড্রাইভে ভাঙন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। সামনেই কোটাল এবং বর্ষা মরশুম। দ্রুত ভাঙন মেরামতি না হলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে মেরিন ড্রাইভ ও সমুদ্রবাঁধ। এমনকী দুর্বল অংশ দিয়ে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়তে পারে পার্শ্ববর্তী পূর্ব মুকুন্দপুর-সহ মৈত্রাপুর, মির্জাপুর, আলমপুর গ্রামে। তাই দ্রুত বাঁধ মেরামতির প্রয়োজন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানান।
আরও পড়ুন-কর্নাটকে ভোটের আগে ৩৮৫ মামলা প্রত্যাহার, মেরুকরণের কৌশল বিজেপির
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সারাইয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করবে তারা। ১৫ দিনের মধ্যে মাটি ফেলে শালবলগার পাইলিং ও হাই ডেনসিটি পলিথিন ব্যাগ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করা হবে। কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আপাতত বর্ষার কথা মাথায় রেখে পূর্ব মুকুন্দপুরের এই জায়গায় সমুদ্রবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ডিপিআর অনুযায়ী কাজ হবে।’