প্রতিবেদন : যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই কি কিয়েভ সফরে যাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন? এই খবর সামনে আসতেই জল্পনা তীব্র৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু না বললেও জানিয়েছেন, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মানসিকতা দেখে তিনি মুগ্ধ৷ জনসন বলেছেন, ইউক্রেনের উপর রাশিয়া যেভাবে হামলা চালাচ্ছে তাতে জেলেনস্কি ও তাঁর পরিবারের প্রবল প্রাণ সংশয় রয়েছে। এই কারণে তিনি জেলেনস্কিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সপরিবার ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। কিন্তু জেলেনস্কি তাঁর সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুন-পুতিনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে তদন্ত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কী কারণে সপরিবার ব্রিটেনের চলে আসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তাও জানিয়েছেন জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের মানুষ চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। এই দুর্দিনে তিনি দেশবাসীকে ছেড়ে কখনওই নিজের জীবনকে সুরক্ষিত করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউক্রেনবাসীর প্রতি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। সেই দায়িত্ব তিনি কখনই এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাঁর নিজের জীবনের থেকেও দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বরিস জনসনের কথায়, আমার এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জেলেনস্কি যে মনোভাব দেখিয়েছেন তার জন্য আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। জেলেনস্কির সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়।
আরও পড়ুন-অবশেষে খোঁজ মিলল স্টিপানের, আপাতত ফ্রান্সেই নিরাপদ আশ্রয়ে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, জেলেনস্কিকে তিনি যত দেখছেন ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রকৃতই এক দেশপ্রেমিক। এদিকে জানা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই ইউক্রেন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ রাশিয়াকে আগ্রাসন বন্ধের কড়া বার্তা দিতে আগামী সপ্তাহে তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ কূটনৈতিক মহলের মতে, বরিস জনসন যদি সত্যিই এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আসেন তাহলে তা ইউরোপের এই সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক হবে৷