প্রতিবেদন : দলের প্রতিষ্ঠাদিবস পালনের নামে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় আইএসএফ কর্মীদের চূড়ান্ত অসভ্যতা ও তাণ্ডব। মারমুখী আইএসএফ কর্মীদের ছোঁড়া পাথরের ঘায়ে আহত হলেন একাধিক পুলিশকর্মী। কয়েকজন পথচারী ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীও আহত হয়েছেন। ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক ও আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে এদিন সকালে ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের ছোঁড়া বোমা, ইট ও পাথরে গুরুতর আঘাত পান কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। কয়েকজনের মাথা ফাটে। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তিনটি দলীয় অফিস।
আরও পড়ুন-কাঁচের বোতলে মিলবে খাঁটি গরুর দুধ
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। এর পিছনে মদত দিচ্ছে সিপিএম ও বিজেপি। কিন্তু ভাঙড়ে মানুষ এই চক্রান্ত রুখে দেবে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, জনবিচ্ছিন্ন বিরোধী দলগুলি তত হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা তৈরি করছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন নওশাদ সিদ্দিকি। আর সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের প্রাণকেন্দ্র জুড়ে আইএসএফ কর্মীদের হিংস্র তাণ্ডব। ফলে গোটা ঘটনার নেপথ্যে ‘লোডশেডিং’ বিরোধী নেতার অদৃশ্য ভূমিকা দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন-কমল ঠান্ডা, উপকূল এলাকায় হতে পারে বৃষ্টি
এর আগে শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে এদিন ধর্মতলায় সভার ডাক দিয়েছিল তারা। কিন্তু সভায় আসার পথে ভাঙড়ে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ধর্মতলায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁরা ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবি জানান। প্রথমে পুলিশ শান্ত ভাবে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরই মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট, পাথর, জুতো ছুঁড়তে থাকে আইএসএফ কর্মীরা। কিছুক্ষণের জন্য রণক্ষেত্র হয়ে ব্যস্ত ধর্মতলা চত্বর। হাজার প্ররোচনার মুখে দাঁড়িয়েও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন পুলিশ কর্মীরা। এর আগে এদিন সকালে আইএসএফ কর্মীদের সৌজন্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।
আরও পড়ুন-তবু ব্রিজভূষণের পাশেই ফেডারেশন!
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণের পথেই নামল আইএসএফ। অভিযোগ, শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে আক্রমণ করে আইএসএফ কর্মীরা। মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা, ইট ও পাথর ছোঁড়া হয়। কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে। ভাঙচুর করা হয় তিনটি পার্টি অফিস। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। কাশীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।