প্রতিবেদন : ইজরায়েলে (Israel-Gaza) হামাসের হামলার প্রত্যাঘাতে ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। তারপরেও থামার পাত্র নয় ইহুদিরা। আকাশপথে হামলার পাশাপাশি এবার তারা সরাসরি ট্যাঙ্কার হামলা, গোলাবার্ষণের পথে হাঁটছে। বোমা হামলা চালিয়ে গাজার মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইজরায়েল। সবমিলিয়ে গাজায় আগামী কয়েকদিন দ্বিতীয় দফায় আরও বড় হামলার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
শুক্রবারই ইজরায়েলের (Israel-Gaza) সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি ঘোষণা করেছিলেন, স্থলপথে আরও তীব্র আক্রমণ শানাতে চলেছেন তাঁরা। ইজরায়েলের বোমা হামলায় ইতিমধ্যেই গাজায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এর ফলে বাকি পৃথিবীর সঙ্গে এই ভূখণ্ডটির যোগাযোগ কার্যত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খাদ্য-বিদ্যুৎ-জল সংকট তীব্র। বিধ্বস্ত জনজীবন। কার্যত মানবিক সংকট শুরু হয়েছে গাজায়। এই পরিস্থিতিতে হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পুরোদমে ইজরায়েলি বাহিনীর হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। যদিও ইজরায়েলি সেনার লাগাতার প্রত্যাঘাতে কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা ভূখণ্ড।
গত ৭ অক্টোবর দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের আক্রমণে সেখানে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক শিশু এবং মহিলা। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাতে ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য সামরিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ। তবে নেতানিয়াহু প্রশাসন যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তাতে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস না করার পর্যন্ত থামবে না ইজরায়েল।
আরও পড়ুন- হামাস জঙ্গি নয়, প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার লক্ষ্যে লড়ছে, বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট