রবিবারের সকালে ইসরো (ISRO) নয়া স্যাটেলাইট, ইওএস-০৯ (EOS-09) উৎক্ষেপণ করে। কিন্তু তৃতীয় ধাপে এসে সমস্যা শুরু হয়। অল্পের জন্য লক্ষ্য হাতছাড়া হয়। নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌছতে পারেনি এই উপগ্রহ। এটি ইসরোর ১০১ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অভিযান ছিল। যদি সফল হত তবে দেশের প্রতিরক্ষা থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক কাজে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যেত। এদিন ভোর ৫ টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইসরো আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ইওএস-০৯ উৎক্ষেপণ করে। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV-C61)-র সাহায্যে এই স্যাটেলাইট এদিন মহাকাশে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন-খাস জমির বেআইনি হস্তান্তর ঠেকাতে তথ্য ‘বাংলার ভূমি’তে
প্রসঙ্গত, ১৭১০ কেজির এই স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে উচ্চ রেজুলিউশনের ছবি ও তথ্য পাঠাতে সক্ষম। এই স্যাটেলাইটের ৫ বছর জীবনকাল ছিল। এর বিশেষত্ব হল মহাকাশ থেকে পৃথিবীর স্পষ্ট ছবি পাঠানো । যেকোন রকম আবহাওয়াতেই পাঠানো যেত ভাল ছবি। দিন ও রাতের স্পষ্ট ছবি তুলে ধরতে পারত এটি। শুধু তাই নয়, ২৪/৭ নজরদারি থাকত এই স্যাটেলাইটের। কৃষিকাজ, বিপর্যয় মোকাবিলা, শহরাঞ্চল পরিকল্পনা, ও বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার কাজেও এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা যেত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকে নিয়ে এখন যখন উদ্বেগ চরমে সেখানে সীমান্তে নজরদারিতে এই স্যাটেলাইট বিশেষ সাহায্য করত। অনুপ্রবেশ রুখতে এবং সন্ত্রাস দমন অভিযানে এই স্যাটেলাইট অনেকটাই সাহায্য করতে পারত। ইসরোর প্রধান ভি নারায়ণন এই বিষয়ে বলেন, “আজ আমরা পিএসএলভি-সি৬১ লঞ্চের চেষ্টা করেছিলাম। এটি স্টেজ-৪ ভেহিকল ছিল। প্রথম দুটি ধাপ ভালভাবে উত্তীর্ণ হলেও, তৃতীয় ধাপে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই মিশন সম্পূর্ণ করা গেল না।”