নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : এসপি এবং ডিআইজি র্যাঙ্কের অফিসারদের ক্ষেত্রে এবার কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এমপ্যানেলমেন্ট পদ্ধতি বাতিল করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের আরও এক নতুন সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রস্তাব, কোনও আইপিএস অফিসার এসপি বা ডিআইজি র্যাঙ্কে যদি কেন্দ্রীয় সরকারি (Central Government) ডেপুটেশনে না আসেন, তাহলে বাকি কর্মজীবনে তাঁকে আর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই এই মর্মে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
আরও পড়ুন – বিজেপি ছেড়ে ২০০০ কর্মী এলেন তৃণমূলে
ক্যাডার বিধি পরিবর্তন করে আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের বদলির ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে রাজ্যের মতামতকে কার্যত উপেক্ষা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরিবর্তিত ক্যাডার বিধিতে আইএএসদের পাশাপাশি আইপিএসদেরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় মোদি সরকার। নতুন যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, সেখানেও রাজ্যের মতামত গুরুত্ব পাবে না বলেই আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের দাবি, শূন্যপদগুলি পূরণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং বিভিন্ন বাহিনীতে এসপি এবং ডিআইজি র্যাঙ্কে প্রায় ৫০ শতাংশ শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। সেগুলি দ্রুত পূরণ করতেই এই প্রস্তাব কার্যকর করতে চায় মোদি সরকার। বর্তমান বিধি অনুযায়ী, আইজি পদ মর্যাদা পর্যন্ত অন্তত তিন বছর কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে না থাকলে তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারে বদলির জন্য এমপ্যানেল করা হয় না।
যে পরিমাণ শূন্যপদ রাজ্যগুলিতে পড়ে রয়েছে তাতে, এসপি এবং ডিআইজি র্যাঙ্কের অফিসারদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানো রাজ্যগুলির পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আইজি পদটি তুলনায় কম থাকায় সেই পর্যায়ে ছেড়ে দেয় রাজ্যগুলি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে খরচ কমাতে প্রতিটি ব্যাচে আইপিএসের সংখ্যা ৮০-৯০ থেকে কমিয়ে ৩৫-৪০ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের দাবি, গড়ে প্রতিটি ব্যাচে এখন আইপিএসের সংখ্যা ৩৬, যেখানে প্রতি বছর অবসর নেন গড়ে ৮৫ জন আইপিএস অফিসার।