প্রতিবেদন: কঠিন সময় অপেক্ষা করছে গেরুয়া শিবিরের জন্য। মোদির-শাহর স্বপ্নের ফানুস ফাটল বলে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জুটবে বড়জোর ২০০ থেকে ২২০ আসন! হ্যাঁ, লোকসভায় বড় ধাক্কার ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর স্বামীর। বিজেপির জন্য উদার মনে আসন সংখ্যা গুণলেও এবারে অন্তত ১০২টি আসন হারাতে চলেছে মোদির নেতৃত্বাধীন দল। যার অর্থ ‘চারশো পারের’ দুঃস্বপ্ন মুছে অন্তত ২০০ আসন ধরে রাখাটাই রীতিমতো কঠিন হবে বিজেপির পক্ষে। নির্বাচনী আবহে এমনই হিসাব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পারাকালা প্রভাকর।
আরও পড়ুন-বিজেপির অপদার্থতার প্রতিবাদে গাধার পিঠে চেপে মনোনয়ন দিলেন নির্দল প্রার্থী
তাঁর গণনা অনুযায়ী, এনডিএ জোট আটকে যাবে ২৫৫ থেকে ২৬৫ আসনের মধ্যে। যা থেকে স্পষ্ট, ম্যাজিক নম্বর ২৭২ ছুঁতে পারবে না এনডিএ। অর্থনীতিবিদ তথা লেখক পারাকালা প্রভাকর বেশ কিছুদিন আগে মোদি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেস সরকারে অপশাসন, দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার ২০১৯ সালেও পুলওয়ামা ও বালাকোটকে সামনে রেখে নিজেদের ভোটের হার যেভাবে বাড়াতে পেরেছিল, ২০২৪ সালে তা সম্ভব হবে না। অভিমত প্রভাকরের। শুধুমাত্র হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্যই মূলত হারতে হবে বিজেপিকে, এমনটাই দাবি প্রভাকরের। সেই সঙ্গে দেশে বেকারত্বের পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোদি জমানায় এতটুকুও উন্নতির আশা না দেখাতে পারায় দেশের ক্ষমতা হারাতে চলেছে বিজেপি, এমনটা ব্যাখ্যা অর্থনীতিবিদ নির্মলা সীতারমনের স্বামী আরেক অর্থনীতিবিদের। প্রভাকরের যুক্তিতে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার একটা বড় প্রভাব এনডিএ জোটের উপরও পড়বে। এমনতিই ছোট দলগুলির সঙ্গে জোটের বিষয়টি ধোঁয়াশার মতো রয়েছে। এমনকী দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশে এনডিএ জোটের অনেক শরিকই খাতা খুলতে পারবে না বলে দাবি প্রভাকরের। সেই কারণেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে পঞ্চাশ শতাংশ আসন হারাবে বিজেপি। আবার উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারত মিলিয়ে ৬৫ থেকে ৭৫ আসন হারাতে চলেছে বিজেপি। গোটা দেশের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে অন্তত ৯০ থেকে ১০২ আসন। বিজেপির প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা রেখেই যে পরিসংখ্যান তিনি দিয়েছেন সেই সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রভাকর।
আরও পড়ুন-জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দিলেন কেজরিওয়াল
একটি সাক্ষাৎকারে রীতিমতো প্রত্যেক রাজ্য ধরে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা তুলে ধরে প্রভাকরের ব্যাখ্যা, বিজেপির আসন সংখ্যা ২০০ থেকে ২২০-র মধ্যে আটকে যাবে। যে হিসাব তিনি দিয়েছেন সেই তালিকা এই রকম: অন্ধ্রপ্রদেশ-১, তেলেঙ্গানা-৪, তামিলনাড়ু-০, কেরল-০, কর্নাটক-১১, উত্তরপ্রদেশ-৫০, বিহার-১০, মধ্যপ্রদেশ-২৫, রাজস্থান-১৯, ছত্তিশগড়-৪, ঝাড়খণ্ড-৬, হরিয়ানা-৩, দিল্লি-২, মহারাষ্ট্র-১১, পশ্চিমবঙ্গ-১৩, ওড়িশা-৬।