২২ জানুয়ারি রয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার এক সপ্তাহ আগেই নবরূপে সাজবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple)। ৯৪৩ কোটি টাকা খরচ করে পুরীর মন্দিরে এই ‘মন্দির পরিক্রমা’ প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। ভক্তদের জন্য ১০ মিটার চওড়া পথ তৈরি করা হয়েছে। রাস্তার দুই ধারে সবুজ ঘাসে ঘেরা ৭ মিটার চওড়া ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে। ১৫.৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল এই প্রকল্পের জন্য এবং ৬০০ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন-শিশিরের শব্দের মতো, বিকেল নামে হলুদ হেমন্তের ডালে
এই নবনির্মিত পথ দিয়েই জগন্নাথ মন্দির পরিক্রমা করতে পারবেন ভক্তরা। মন্দিরের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে। ৬০০০ ভক্ত লাইন দিতে পারবে এমনই বন্দোবস্ত করা হয়েছে মন্দিরে। শুধু তাই নয়, ৪ হাজার পরিবারের জিনিস রাখার স্টোরেজ ফেসিলিটি তৈরি হয়েছে। পানীয় জল, টয়েলেটের জায়গা তৈরি হয়েছে। ভক্তদের জন্য যাত্রীনিবাস তৈরি হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গনে থাকছে ইনফর্মেশন ডেস্কও। মন্দিরের কাছে এদিকে মাল্টি লেভেল গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপতকালীন ব্যবহার বা পুলিশের জন্য নির্দিষ্ট একটি লেন তৈরি করা হয়েছে। পৃথক কন্ট্রোল রুমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শহর জুড়ে সিনেমা
প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের তরফ থেকে নেপালের রাজাকে বিশেষ আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে। পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ ৩ দিনের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওড়িশার ৮৫৭টি মন্দির এবং দেশের অন্য রাজ্যের ১৮০টি মন্দিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কামাখ্যা, বৈষ্ণোদেবী, শিরডির সাই মন্দির, চারধামও থাকছে।