জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে পুলওয়ামা জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জইশ জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে জইশ-ই- মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু।
২০১৯-এ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর যে হামলা হয়েছিল তার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিল লম্বু। মৃত অপর জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের অন্যতম সদস্য। পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে লম্বুর নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন-চিনে জেট গতিতে ছড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট
প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলওয়ামার দাচিগ্রাম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনীও। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। একসময় জঙ্গিদের দিক থেকে গুলি চালানো বন্ধ হয়। এরপরই জঙ্গলের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। জঙ্গলের মধ্যে আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা তা জানতে গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন-ফোন হ্যাকিংকাণ্ড: ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ কুণাল ঘোষের
উল্লেখ্য, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গিরা ভূস্বর্গে আরও বেশি করে নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও তারা সফল হতে পারেনি। বরং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একের পর এক জঙ্গি খতম হয়েছে। জুন মাসে কাশ্মীরে লস্কর কমান্ডার নাদিম আরবার-সহ দুই জঙ্গিকে গুলি করে মারে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর একাধিক হামলা ও হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল নাদিম। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ বাহিনীর উপর জঙ্গিদের হামলায় ৪০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল।