প্রতিবেদন : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শিনজোর নিথর দেহ শায়িত রয়েছে টোকিওয় তাঁর বাসভবনে। এই শোকের আবহেই রবিবার সেখানে শুরু হল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচন (Election- Japan)। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট শেষ হওয়ার পরই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। বুথ ফেরত সমীক্ষা (Election- Japan) ফলাফল মিললেই বোঝা যাবে সেদেশের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে কোন দলের দাপট থাকবে। এদিন জাপানের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের দাবি, শিনজোকে খুন করে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করা যাবে না। এদিন তার প্রমাণও মিলেছে। ভোট শুরু হতেই বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।
আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে পানশালায় গুলিবৃষ্টি, হত ১৫ জখম বহু
ফুমিও কিশিদার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি এবং কোমেইতোর জোট বড় জয় পাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। সেদেশের রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এই নির্বাচনে এলডিপি এবং কোমেইতোর জোট আসনসংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে নেবে। তাঁরা মনে করছেন, শিনজোর মৃত্যুতে দেশ শোকে মুহ্যমান। এই পরিস্থিতিতে এলডিপি এবং কোমেইতো দুই দলই ভোটারদের সহানুভূতি আদায় করতে পারে। জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কিশিদার নেতৃত্বধীন সরকার ভাল জায়গাতেই রয়েছে। জাপানি সংসদে নিম্নকক্ষের তুলনায় উচ্চকক্ষের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত কম। তবে উচ্চকক্ষের আসনের নির্বাচনকে সাধারণত ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর গণভোট হিসেবে দেখা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচনের জন্য নারা শহরে প্রচার করতে গিয়েই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান প্রাক্তন জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আবের স্মরণে সোমবার একটি বিশেষ প্রার্থনা সভা হবে।