প্রতিবেদন : দেশের বিভিন্ন সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম উন্নত ও আধুনিক করতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে? শেষ পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন মিউজিয়ামগুলি থেকে কতগুলি পদ তুলে দেওয়া হয়েছে? ওই সমস্ত পদ তুলে দেওয়ার কারণ কী? যে সমস্ত পদ শূন্য হয়েছে সেই সমস্ত পদে নিয়োগের জন্য কী সুপারিশ করা হয়েছে? এই মুহূর্তে দেশের মিউজিয়ামগুলির মূল সমস্যা কী এবং সেই সমস্যা সমাধানে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার (TMC Rajya Sabha MP) সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)।
জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি ও পর্যটন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি বলেন, গোটা দেশের ১৪টি মিউজিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মিউজিয়ামগুলির আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উপর সরকার বিশেষ জোর দিচ্ছে। দেশের মানুষ যাতে অনলাইনে বাড়িতে বসেই মিউজিয়ামগুলি চাক্ষুষ করতে পারেন সেজন্য ইতিমধ্যেই ‘মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়া’ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, মিউজিয়ামগুলির সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সরকার গাফিলতি করছে না।
আরও পড়ুন-Ajay Mishra: শিয়রে ভোট, মন্ত্রীকে সরাতে নারাজ বিজেপি
জহর সরকারের (Jawhar Sircar) প্রশ্নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে হায়দরাবাদের সালার জং মিউজিয়ামে ৩, কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে ১৫৪, রাজধানী দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ৯৩ এবং ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে ২ পদ তুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে মন্ত্রীর যুক্তি, বাস্তব ক্ষেত্রে ওই পদগুলির আর কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। সে কারণেই পদগুলি বিলোপ করা হয়েছে। মন্ত্রী একথা বললেও বেশ কিছু মিউজিয়ামে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না৷ যেমন, কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ১০৪, কলকাতার ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়ামে ৮৭, সালার জং মিউজিয়ামে ২৭, কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে ১৯৮, দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ৯৩, এলাহাবাদ মিউজিয়ামে ৩৩ এবং দিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টসে ১৭২টি শূন্যপদ রয়েছে। মিউজিয়াম আধুনিকীকরণের কথা বললেও কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না কেন তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মন্ত্রী৷