মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম : মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জঙ্গলমহলে শুধু রাস্তাঘাট, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়নি, পরিবেশদূষণ রুখতে বিকল্প শক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। কলকাতার পথে যেমন বিদ্যুৎচালিত বাস নেমেছে। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যবহার হচ্ছে গ্রিন এনার্জি অর্থাৎ সৌরবিদ্যুৎ।
আরও পড়ুন-শ্যামপুর-কাণ্ডে ধৃত তিন বিজেপির, দাবি তৃণমূলের
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ও ঝাড়গ্রাম থানার রোহিণী এবং মানিকপাড়া সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। শুধু আলো নয় এই দুটি এলাকায় আধুনিক সভ্যতার বিদ্যুৎনির্ভর সব কিছুই মিটছে সৌরবিদ্যুতে। এর জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জঙ্গলমহলে তৈরি হয়েছে দুটো সৌরশক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার কাছে বর্তমান সরকারের আমলে ২০২০ সালে পাতনিশোলাতে প্রথম তৈরি হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রায় ৭৮ একরে ১০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে।
খোলা আকাশের নিচে ৪৯১৬৮টি সোলার প্যানেলে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। তা মানিকপাড়া বাজার-সহ গোটা এলাকায় বিতরণ করছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এই কেন্দ্রে প্রায় ১২ জন কর্মী। এ বছরের মে মাসে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় সাঁকরাইলের রোহিণী সোলার পাওয়ার সাবস্টেশন থেকে। সুবর্ণরেখা নদীর একটু দূরে বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠে চুয়াপালে। প্রায় ৪৫ একরে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বসেছে ৩১,৬০০টি সোলার প্যানেল। এখানকার সৌরবিদ্যুৎ যাচ্ছে রোহিণী-সহ গোটা এলাকায়।