বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: এতদিন মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ ছিল। থানায় এফআইআরও হয়েছে। এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার একটি অডিও টেপ প্রকাশ করে সেই অভিযোগকে আরও জোরদার করল তৃণমূল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগটিকে ঘিরে উত্তাল উত্তরের রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-খেলা হবে: লোকসভায় আওয়াজ তুললেন অভিষেক, সঙ্গে তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা
এই অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে এখন জেলার প্রায় প্রতিটি মানুষের মোবাইলে। যদিও ভাইরাল হওয়া এই অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করেনি জাগো বাংলা। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে তৃণমূল নেতা গঙ্গাপ্রাসাদ শর্মা, জেলার যুব সভাপতি বাবলু কর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সমীর ঘোষ ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত ধর সাংবাদিক সম্মেলন করে একযোগে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন।
আরও পড়ুন-কলকাতায় প্রয়োজন আরও উড়ালপুল, বহু রাস্তা সম্প্রসারণ : নীতীন গড়কড়িকে জানিয়েছেন মমতা
গঙ্গাপ্রাসাদ বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে সদ্য হওয়া মন্ত্রী প্রচুর খরচ করে প্রাসদোপম অট্টালিকা বানিয়েছেন চা-বাগানের জমিতে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। সাংসদ হয়ে এত অল্প সময়ে উনি এত টাকা কোথা থেকে পেলেন, এই প্রশ্ন আমরা আগেই করেছি। এখন এই অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার পর বুঝতে পারছি যে, এগুলো পুরোপুরি ঘুষের টাকাতেই করেছেন। নিজে আদিবাসী হয়ে এক আদিবাসী মহিলার যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর থেকে এই টাকা উনি ঘুষ নিয়েছেন।’ উল্লখ্য, নির্যাতিতা বার্লার কাছে সাহায্য চাইতে গিয়ে তো পাননি, উল্টে তাঁর কাছ থেকেও বার্লা টাকা চেয়েছিলেন। নির্যাতিতা শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন। ভাইরাল হওয়া অডিও টেপ নিয়ে জন বার্লাকে ফোন করলে উনি ফোন ধরেননি। মেসেজের উত্তরও দেননি।