সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনের (Soumya Viswanaathan) খুনিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার কয়েকদিন পর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তাঁর বাবা এম কে বিশ্বনাথন (MK Viswanathan) প্রয়াত হন। সৌম্যার খুনিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ২৫শে নভেম্বর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই সৌম্যার ৮২ বছর বয়সী বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শুনানির মাত্র দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-‘১২ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা’ আলিপুরদুয়ার থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
যেহেতু পাঁচজন অভিযুক্তকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরিবারের একজন সদস্য হাসপাতাল থেকে অনলাইনে কার্যক্রমে লগ ইন করেছিলেন। এম কে বিশ্বনাথনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে কার্যক্রম দেখার অনুমতি দেওয়ার হয়েছিল। ২৬ বছর বয়সী সৌম্যা বিশ্বনাথনকে ২০০৮ সালে খুন করা হয়েছিল, যার পরে তার বাবা-মা, এম কে বিশ্বনাথন এবং মাধবী বিশ্বনাথন তাদের মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াই করেছিলেন। ১৪ বছরের বিচার চলাকালীন, বাবা-মা উভয়ই প্রতিটি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। যদিও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দ্দেখা দিয়েছিল তবু বিশ্বনাথন আদালতের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। লাঠির ওপর ভরসা করে তাদের মেয়ের জন্য ন্যায়বিচারের আশা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-বে.আইনি পার্কিংয়ের বাড়.বাড়ন্ত রুখতে কলকাতা পুরসভার অ্যাপ
আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন এম কে বিশ্বনাথন সাজা প্রদানে বিলম্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কেন আইনি প্রশাসনিক প্রক্রিয়াটি সুচারুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে খুন হয়েছিলেন সৌম্যা। তাঁকে গাড়িতেই গুলি করে খুন করা হয়। ১৫ বছর পর কিকিছুদিন আগে দিল্লির দায়রা আদালতে এই মামলায় ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।