প্রতিবেদন : এক ফোনেই মুশকিল আসান। পুরভোটে উন্নয়নই হাতিয়ার জুঁইয়ের। শুধু কাউন্সিলর নন, এই ১০ বছরে জুঁই ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। বিয়ের পরও রাজনৈতিক পরিসরে আবর্তিত তাঁর জীবন। ম্যানেজমেন্ট-এর কৃতী ছাত্রী হয়েও রাজনীতি তাঁর প্রথম পছন্দ। মানুষের পাশে দাঁড়াতে, মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে তাই সক্রিয় রাজনীতির ময়দানকেই বেছে নিয়েছেন জুঁই বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-মানুষের পাশে ২৪ x৭
২০১০ ও ২০১৫, পরপর দু’বার কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি। পুরভোটে ফের তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিউ আলিপুর চত্বরে ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বড় অংশ জুড়ে যেমন উচ্চবিত্ত মানুষের বাস, ঠিক অপরদিকে নিম্নবিত্ত মানুষও বসবাস করেন। গত ১০-১২ বছরে পুরমাতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে সকলের পাশে দাঁড়িয়েছেন জুঁই। তাঁর হাত ধরে কলকাতা শহরের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি হল হয়েছে ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে কার্যত ফাইভ স্টার ফেসিলিটি পাওয়া যায় পুরসভার রেটেই। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা এই কমিউনিটি হলের সুবিধা সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের উদ্দেশ্যে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এছাড়া সমস্ত বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে পরিস্রুত পানীয় জল। সুফল বাংলা ও হরিণঘাটার দুটি করে স্টল হয়েছে। চারটি কমপ্যাক্টর মেশিন বসেছে। এলাকায় অনেক পার্ক রয়েছে। এই সবকিছুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করেছেন জুঁই বিশ্বাস। কাজ অনেক হলেও জুঁই একেবারেই দাবি করতে নারাজ, সবকিছু হয়ে গিয়েছে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। একইভাবে উন্নয়নের কোনও নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। কলকাতার সামগ্রিক একটি সমস্যা বৃষ্টিতে জল জমা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা
ব্যতিক্রম নয় ৮১ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেও অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়। জুঁই জানালেন, জল জমার সমস্যা ওয়ার্ডে আছে। তবে তা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। তিনি ফের নির্বাচিত হয়ে এলে জমা জল সমস্যার সমাধান আগামী ৫ বছরে তাঁর কাজে অগ্রাধিকার পাবে। মাঝে দু’বছর করোনা ও আমফানের জোড়া বিপর্যয়ের মধ্যে রাস্তায় ছিলেন জুঁই। যখনই মানুষ বিপদে পড়েছেন, এক ফোনে ছুটে গিয়েছেন তিনি। করোনা ও লকডাউনের সময় এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা নিখরচায় ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। গরিবদের খাবারও দিয়েছেন।