প্রতিবেদন: একজন বিচারক বা বিচারপতি কখনোই চোখ বন্ধ করে রোবটের মতো কাজ করতে পারেন না। বিচারকের হওয়া উচিত ন্যায়পরায়ণ এবং নিরপেক্ষ। এক ধর্ষণ মামলার শুনানিতে বিহারের নিম্ন আদালত এবং পাটনা হাইকোর্টের সমালোচনা করে এমনটাই জানাল শীর্ষ আদালত। একটি ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে তদন্তে একাধিক ত্রুটি রয়েছে জানিয়ে এই মন্তব্য করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। সেইসঙ্গে মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য ফের পাটনা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-ডাল মে জরুর কুছ কালা হ্যায়!
২০১৫ সালে বিহারের ভাগলপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৭ সালে ভাগলপুরের নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। ২০১৮ সালে পাটনা হাইকোর্টও অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এরপর সাজার নির্দেশ পুর্নবিবেচনা করে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে না পেয়েই রায় ঘোষণা হয়েছে। এমনকী, চিকিৎসককে দিয়ে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়নি।
আরও পড়ুন-ইরাক ম্যাচে আজ পরীক্ষা ভারতের
এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, যে ত্রুটিগুলির কথা বলা হচ্ছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বলতে বাধ্য হচ্ছি, তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। এ রকম একটি মামলায় এই ত্রুটির জায়গা নেই। পাশাপাশি নিম্ন আদালত ও পাটনা হাইকোর্টের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান খতিয়ে দেখা হয়নি। সরকারি আইনজীবী বা নিম্ন আদালতের প্রিসাইডিং অফিসার অনেক দিক খতিয়ে দেখার বা সত্যের কাছে পৌঁছনোর প্রয়োজন বোধ করেননি। নীরব দর্শক হয়ে ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত হাইকোর্টও বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি। বিচারককে অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ এবং নিরপেক্ষ হতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে, বিচারক নিজের চোখ বন্ধ করে নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন এবং রোবট বা রেকর্ডিং মেশিনের মতো কাজ করবেন।