সুনীতা সিং, কালনা: উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশীর সিলকিয়ারা ও বারকোটের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কিমি টানেল তৈরির শেষ মুহূর্তে ৪৭৭ মিটার আগেই আচমকা ধস নামার জেরে প্রায় ৬০ মিটার এলাকা রুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেখানেই আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। ১১ দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন-পেরুর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ ভেনেজুয়েলার
দ্রুত সেই কাজ শেষ করার পাশাপাশি টানেলের শেষ পর্যায়ের কাজটিও শেষ করতে বরাত পেয়ে কালনা থেকে গেল বিশেষ ধরনের ইন্টারমিডিয়েট জ্যাকিং পাইপ। কালনার বৈদ্যপুরে দীর্ঘদিন এই বিশেষ টানেল পাইপ তৈরি করেন উদ্যোগপতি দেবাংশু কুমার। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে ২ জোড়া ইন্টারমিডিয়েট জ্যাকিং পাইপের বরাত আসে উত্তরকাশী থেকে। তার পর থেকেই ৩ দিন ধরে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে সকলে মিলে পাইপ তৈরির কাজে লেগে পড়ি।
আরও পড়ুন-সক্ষম-সুদীপের দাপটে জয় বাংলার
বৃহস্পতিবার বিমানে উত্তরকাশী পাঠানো হয়েছে ওই পাইপ। দেবাংশুবাবু জানান, ইন্টারমিডিয়েট জ্যাকিং পাইপ মূলত টানেলে প্রেসার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় টানেলের মাঝে দুটি পাইপের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা পূরণের জন্যও ব্যবহার করা হয় এই কংক্রিটের বিশেষ ধরনের পাইপ। এর আগে অসমে রিভার ক্রসিং প্রজেক্টের কাজ করার পাশাপাশি বহু মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার সুবাদেই তাঁর তৈরি এই পাইপের বরাত মিলেছে বলে জানা গেল। তবে বাংলার মানুষ হয়ে এই বিপর্যয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে গর্ব হচ্ছে বলে জানান দেবাংশুবাবু।
আরও পড়ুন-রবীন্দ্রনাথ যাকে আশ্রমের সম্পদ বলেছিলেন সেই ঐতিহ্যবাহী কালো বাড়ির দৈন্যদশা বাড়ান বিদ্যুৎ
তৃণমূল রাজ্য এসটি সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু বলেন, ‘এটা গর্বের বিষয় যে আমাদের ব্লকের একজন ব্যবসায়ী গোটা ভারত জুড়ে ব্যবসা করছেন। শুধু তাই নয় বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে টানেল তৈরিতে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে সেই সমস্যা সমাধানে তিনি এগিয়ে এসেছেন। আসলে এটাই বাংলা। আমরাই পারি বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আর যাঁরা বাংলার শিল্প নিয়ে ভ্রু কোঁচকান, কথায় কথায় বলেন কোথায় শিল্প, তাঁরা দেখুন এই তো শিল্প। যেখানে বাংলার শ্রমজীবী মানুষ গোটা ভারতের নানা প্রান্তকে জুড়ে দিচ্ছেন এক সুতোয়।