প্রতিবেদন : সংসদের নিরাপত্তার এই হাল হলে দেশের নিরাপত্তার কী হবে? সঙ্গত প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, লোকসভার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার দায় পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই নিতে হবে। তাঁর যুক্তি, অনেকদিন আগে থেকে খালিস্তানি নেতা পান্নুন হুমকি দিয়েছিল যে ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা চালানো হবে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ওই হুমকিতে গুরুত্ব দেয়নি। মোদি-শাহের অপদার্থতার ফলেই বুধবার সংসদে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে হামলা চালানোর সুযোগ পেয়েছে। যেভাবে সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, এর সম্পূর্ণ দায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিতে হবে।
আরও পড়ুন-বিজেপি সাংসদ প্রতাপকে এখনই বহিষ্কারের দাবি
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, সমস্ত বিষয়ে বিজেপি দল ও প্রশাসনের সর্বস্তরে মোদি ও শাহই যেহেতু শেষ কথা, তাই খোদ আইনসভার অভ্যন্তরে এত ভয়ঙ্কর ঘটনার দায় এই দুই শীর্ষ পদাধিকারী কোনওভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। পাশাপাশি এই হামলার ঘটনায় কর্নাটকের বিজেপি সাংসদের নাম উঠে আসাও অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় বলে মত তৃণমূলের। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো কী করছিল? এত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চূড়ান্ত গোয়েন্দা ব্যর্থতাও প্রমাণ হয়ে গেল। তাঁর প্রশ্ন, অনুপ্রবেশকারীরা কী করে ঢুকল? পুলিশের কাছে কেন আগে থেকে এর খবর ছিল না? যে বিজেপি সাংসদ হামলাকারীদের পাস অনুমোদন করেছিলেন তাঁকে কেন বহিষ্কার করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।