সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : ফের রেলের গাফিলতি। দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। আর তার জেরেই ঘটতে চলেছিল ময়নাগুড়ির দোমহানির মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বরাতজোরে রক্ষা পেল আলিপুরদুয়ারগামী ১৩১৪৯ আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস (Kanchankanya Express)। বৃহস্পতিবার সকালে বানারহাটের ঘটনা। স্টেশনে না জানিয়েই চলছিল লাইন মেরামতির কাজ। লাইনের ওপর সিলিন্ডার পড়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের (Kanchankanya Express) গতি কিছুটা হালকা ছিল তাই রক্ষে। না হলে বিকানের-গুয়াহাটির দুর্ঘটনার মতো আরও একটি ক্ষতি দেখতে হত দেশবাসীকে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জমির মিউটেশনে পুরুলিয়ায় শিবির
ঠিক কী ঘটেছিল? ডুয়ার্সের বানরহাট রেল স্টেশনে ঢোকার মুখে দেবপাড়া চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় ট্রেন লাইনের ওপর গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন কর্মীরা। স্টেশনগুলিতে এই মেরামতি সংক্রান্ত কোনও খবর ছিল না। চালক জরুরি ব্রেক কষার পর ছিটকে যায় সিলিন্ডারটি। ট্রেনের গতি বেশি থাকলে সিলিন্ডার ফেটে যে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত তা চিন্তা করে শিউরে উঠছেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে বানারহাট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার ধর্মেন্দ্র কুমার জানান, ‘‘লাইনে কাজ চলার বিষয়ে স্টেশনে কোনও খবর ছিল না।’’ দোমহানির ঘটনার পরও রেলের এই ধরনের দায়িত্বহীনতা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছে প্রশ্ন। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলছেন, ট্রেনে উঠলে কি এবার জীবন বাজি রাখতে হবে? যদি বড় দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে এর দায় কে নিত? স্বাভাবিকভাবেই রেলমন্ত্রকের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: স্টেশন বিক্রির পর মেট্রোতে কিয়স্ক