সংবাদদাতা, কাঁথি : গোটা রাজ্যের নজর এবার কাঁথির দিকে। অধিকারী-দুর্গের পতন দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা। কাঁথির (Kanthi) মানুষও প্রচণ্ড বিরক্ত অধিকারী পরিবারের ওপর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেখানে যাচ্ছেন বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। তাঁর ছোট ভাইয়ের নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে ছোটভাই কাঁথিতেই রাতবিরেতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পালাতে পথ পাননি। বোঝাই যাচ্ছে, কাঁথিবাসী (Kanthi) বদ্ধপরিকর অধিকারীদের কবল থেকে বেরোতে। কাঁথি পুরসভার ভোটার ৫৫,৯৬২। প্রার্থী ৮২ জন। বাস্তবে লড়াইটা অধিকারী পরিবার বনাম কাঁথি পুরবাসীর।
আরও পড়ুন – নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার বিজেপি প্রার্থী
চার দশক একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করেছে এই পরিবার। তার জেরে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পর গদ্দারি করতে ছাড়েনি। দুর্নীতি আকণ্ঠ। নিজেদের মর্জিমতো কাঁথি শাসন করেছে। এদিকে কাঁথির বঞ্চনার তালিকা ক্রমশ বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ কেন হল না, কেন কাঁথিতে আজও মহিলা কলেজ নেই, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পুর এলাকায় কোনও ভাল পার্ক নেই কেন, শান্তিকুঞ্জের সামনে থেকে কেন অনাথ আশ্রম উঠে গিয়ে গ্যারাজ হল, কাঁথি কলেজের আর্থিক দুর্নীতির কী হবে, গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্প, হাই মাস্ট লাইট নিয়ে দুর্নীতির কী হবে? — প্রশ্ন অনেক। পুর নির্বাচনে এসবেরই উত্তর চান কাঁথিবাসী। গত বিধানসভা ভোটে অধিকারীরা নিজের পাড়ার বুথেই জিততে পারেনি। জেলার আদি বিজেপি নেতাদের অনেকেই বিরূপ। কাঁথি পুরসভায় এবার পুরুষদের চেয়ে মহিলা ভোটার বেশি। ২৮,৭৮৮ জন। রয়েছেন একজন উভয় লিঙ্গের ভোটার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সৌজন্যে বেশিরভাগ মহিলাদের ঢল দেখা গিয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। এই মহিলারা ভোটের দিন কাঁথির মোট ৬৮টি বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ প্রার্থীকেই জেতাবেন, সেটা সহজ অনুমেয়।