চন্দনা মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: কাটোয়ার দারুশিল্প পাড়ি দিল কানাডায়। অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের শিল্পীর তৈরি কাঠের দুর্গা সেখানকার পুজোমণ্ডপে আলো ছড়াবে। এি খবরে এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে খুশি। অনলাইনে বরাত পেয়ে কাঠখোদাই করে ফুট দুয়েক উচ্চতার সিংহবাহিনী দুর্গামূর্তিটি তৈরি করেছেন বিশিষ্ট শিল্পী অক্ষয় ভাস্কর। কানাডার ওই মণ্ডপে দারু-দুর্গার সঙ্গে আরও বেশ কিছু দারুশিল্প শোভা পাবে। থাকবে অক্ষয়বাবুর তৈরি কাঠের রাধাকৃষ্ণ, জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম ও টিয়াপাখি। অক্ষয় জানালেন, ‘ভিনরাজ্য ও ভিনদেশের বাজার ধরতে আমরা শিল্পকর্ম অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। তা দেখেই কানাডার এক প্রবাসী বাঙালি বরাত দেন। অনলাইন ব্যবস্থা চালু হওয়াতে ভালই বরাত মিলছে।’ এর আগে অক্ষয়ের কাঠের দুর্গা মহারাষ্ট্র ও পুনের মণ্ডপে শোভা পেয়েছে। দারুশিল্পের গ্রাম নতুনগ্রামের শিল্পীদের দুর্গা ও বিভিন্নরকম শো-পিস কলকাতার বহু মণ্ডপের কৌলীন্য বাড়িয়েছে। এবার বিদেশে পৌঁছে গেল।
আরও পড়ুন : আহিরীটোলার পরে রবীন্দ্র সরণি: পুরানো বাড়ির একাংশ ভেঙে মৃত্যু
এখানকার দারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারও। নতুনগ্রাম, অগ্রদ্বীপ ও পূর্বস্থলীর কাঠের শিল্পকর্মের খ্যাতি দীর্ঘদিনের। শতাধিক শিল্পীর রুটিরুজি জোটে কাঠের শিল্পকর্ম ও আসবাব তৈরি করে। গত বছর করোনার প্রভাবে দুরবস্থা দেখা দেয়। ঘুরে দাঁড়াতে শিল্পকর্মের বিক্রি বাড়াতে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেন। তাতেই ভাল ফল মেলে। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নতুনগ্রামের শিল্পীরা এখন তাঁদের সৃজনকর্মে সনাতন ভারতীয়ত্বর সঙ্গে পাশ্চাত্ত্য ভাবধারার মিশেল ঘটাচ্ছেন। এই শিল্পভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকারও। আফ্রিকান ডলের আদলে কাঠের দুর্গা বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রগুলিতে ঠাঁই পেয়েছে।’