প্রতিবেদন : বামেদের মিথ্যাচার, দ্বিচারিতা ফের প্রকাশ্যে। বাংলার প্রাপ্য মেটানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা বা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি অভিযান নিয়ে কম বাঁকা কথা শোনায়নি সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় কম টিপ্পনী কাটেনি তারা। এখন সেই সিপিএমই তৃণমূলের দেখানো পথে হেঁটে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লি অভিযানে নামছে। একই ইস্যুতে বাংলায় তারা তৃণমূলকে গালমন্দ করছে, আর দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে। এর থেকে বড় দ্বিচারিতা আর কী হতে পারে?
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথকে অনুসরণ করেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির রাজপথে ধরনায় বসছেন। সিপিএমের কেরল নেতৃত্ব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ ধরে দিল্লি অভিযানে নামছে। এর থেকেই প্রমাণিত, বামেদের সব চেতনাই দেরিতে হয়। আর তারপর ভুল স্বীকার করে তারা। ঠিক যেমনটি হয়েছিল জ্যোতি বসুর ক্ষেত্রে। সিপিএমের ঐতিহাসিক ভুলে বাংলা বঞ্চিত হয়েছিল প্রথম বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী পাওয়া থেকে।
আরও পড়ুন- বছরে ১ লক্ষ কোটি নিয়েও বাংলাকে বঞ্চনা
আসলে বাংলার মতো কেরলেরও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বহু টাকা বকেয়া। অঙ্কটা প্রায় ৫৮০০ কোটি টাকা। বাংলার মতোই কেরল সরকারেরও অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেও সুরাহা হয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে দিল্লি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সিপিএম। সব সাংসদ-বিধায়ককে একত্রে নিয়ে দিল্লি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
আরও পড়ুন-২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকা পৌঁছে দিতে বাজেটেই থাকছে টাকার সংস্থান
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা থেকে চাষিদের ধান কেনার টাকা-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য মেটানোর দাবি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি অভিযান করেছিলেন, কলকাতায় ফিরে রাজভবনে সামনে ধরনায় বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বে রেড রোডে বাংলার প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার ধরনা-আন্দোলন চলছে। এবার তাঁর দেখানো পথেই হাঁটছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।