বামেদের পাপের দায় কেন নেবে তৃণমূল? ক্যাগের মিথ্যাচার নিয়ে তোপ নেতৃত্বের

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চিঠি লিখে ক্যাগ রিপোর্টে বিজেপির মিথ্যাচার প্রকট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চিঠি লিখে ক্যাগ রিপোর্টে বিজেপির মিথ্যাচার প্রকট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিল, ২০১১ সালের পর থেকে এই বিষয়ে কোনও গলদ হয়নি সরকারের। বাম আমলে কী হয়েছে তার দায় তৃণমূল সরকার নেবে না।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

রবিবার ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ক্যাগ রিপোর্টে ২০০২-০৩ সাল থেকে ২০২০-২১ সালের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে ২০১১ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাই বাম আমলে কী হয়েছে তার দায় তৃণমূল সরকার নিতে বাধ্য নয়। তিনি জানান, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যতবার কেন্দ্রের তরফে টাকা এসেছে যথাযথ সময়ে খরচের হিসাব কেন্দ্রীয় বিভাগে তারা দিয়েছে। তাই পরের টাকাও ঠিক সময়ে এসেছে। সম্প্রতি সচিবপর্যায়ে বৈঠকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তৃণমূলের স্পষ্ট দাবি, ক্যাগের রিপোর্টের ধরনকে হাতিয়ার করে বিজেপি তথা বিরোধীরা বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, বাংলার সরকারকে অপবাদ দিচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বামেরা কী করে গেছে, তার দায় তাঁর সরকার নেবে না।

আরও পড়ুন-বাংলার নেত্রীর পথেই বকেয়া চেয়ে ধরনায় কেরল মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যসভার তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, শনিবার ভারতের ইতিহাসে ছিল বিরাট বড় দিন। মুখ্যমন্ত্রী ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলার ১০০ দিনের কাজের ২১ লক্ষ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আর্থিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে, অথচ গরিব মানুষের ৬৯০০ কোটি টাকা দিতে পারছে না ওরা। বিবেকবোধ থাকলে রাজ্যের ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিক কেন্দ্র। এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, কেন্দ্রের যদি লাজ-লজ্জা থাকে তাহলে প্রায়শ্চিত্ত করতে বাংলার অধিকার ফিরিয়ে দিক। ১০০ দিনের টাকা বাংলার মানুষের অধিকার। লোকসভার ডেপুটি লিডার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, মোদি সরকার শুধু মুখে বলতেই ব্যস্ত, কাজ কিছু করছে না। কেন্দ্রের কাছে আমাদের দাবি, বছরভর ১০০ দিনের কাজ দিতে হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার জন্য তাঁকে শতকোটি প্রণাম।

Latest article