১৬ অগাস্ট বাংলার তৈরি ফুটবলেই রাজ্যজুড়ে খেলা হবে

Must read

সোমনাথ বিশ্বাস: একুশের বিধানসভা ভোটে শাসক তৃণমূলের ট্যাগ লাইন ছিল “খেলা হবে”! এই জনপ্রিয় স্লোগান শুধু রাজনীতির ময়দান নয়, আট থেকে আশি সকলের মুখে এখনও ফেরে। তাই “খেলা হবে”-স্লোগানকে ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ১৬ অগাস্ট সরকারি ভাবে “খেলা হবে” দিবস পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। এই বিশেষ দিনটি রাজ্যবাসীর কাছে ফুটবল–প্রেমী দিবস হিসেবেও পরিচিত।

আরও পড়ুন-টোকিওয় প্রথম পদক জয়ী মীরাবাই চানুকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী

১৬ অগাস্ট খেলা হবে দিবসে রাজ্যজুড়ে ১ লক্ষ ফুটবল বিলি করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আর এই বিপুল সংখ্যক ফুটবল কিন্তু রাজ্যেই তৈরি হচ্ছে। গ্রাম বাংলার মহিলাদের হাতে তৈরি ফুটবলেই “খেলা হবে” দিবস পালন করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নতমানের ফুটবল ও ভলিবল তৈরি করছে। যা ইতিমধ্যেই বাজারে জনপ্রিয়।

রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনে ”রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফটস”–এর ছাতার তলায় গ্রাম বাংলার মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবং ফুটবলকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ নিয়েছিল। অৰ্থাৎ, একদিকে কুটির শিল্পের মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থান আর অন্যদিকে নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করা। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্ক প্রসূত এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে বাংলার প্রাক্তন ফুটবলারদেরও। যেখানে কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মানস ভট্টাচার্য। ভাইস চেয়ারম্যান ফুটবলার এবং উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক বিদেশ বসু। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নিমাই গোস্বামী, প্রশান্ত ব্যানার্জি, কম্পটন দত্ত এবং প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে বিকল্পের পদধ্বনি, রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী জহর সরকার

প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যের কথায়, “ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকেই গ্রাম বাংলার মহিলাদের দিয়ে আমরা বল তৈরি করেছি। কাঁচামাল, সূচ, সুতো থেকে শুরু করে সবকিছুই জোগান দেওয়া হয়। তাঁদের সঠিক প্রশিক্ষণ-এর মাধ্যমে এবং যোগ্য পারিশ্রমিক দিয়ে দিয়েই ফুটবল এবং ভলিবল তৈরির কাজে লাগানো হয়। বল তৈরির কাঁচামাল আমরা কিনি স্পোর্টস নেক্সট বলে একটি সংস্থার থেকে। যা মহিলাদের সরবরাহ করা হয়।”

মানসবাবু আরও জানিয়েছেন, হুগলির তারকেশ্বর ও চন্দননগর, বর্ধমানের কালনা, হাওড়ার বেতর, এমনকী একটা সময় আলিপুর সংশোধনাগারের আবাসিকদের দিয়েও বল তৈরি করানো হয়েছে। আগামীদিনে সারা বাংলার ইচ্ছুক মহিলাদের এই বল প্রস্তুতের বরাদ দেওয়া হবে।

Latest article