প্রতিবেদন: কৃষকবিরোধী মোদি সরকারকে লোকসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত করার ডাক দিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। লাগাতার অনমনীয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখিয়ে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করেছিল মোর্চা। কৃষকদের প্রবল চাপে আইন বাতিল করতে বাধ্য হলেও নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। উল্টে লোকসভা ভোটের প্রচারে ফের কৃষকদের জন্য কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন। কিছুদিন আগে লোকসভা ভোটের মুখেই সরকার বিরোধী কৃষক আন্দোলনে জেরবার হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকরা যাতে দিল্লিতে আন্দোলন করতে না পারেন সেজন্য দমনপীড়নের রাস্তায় হেঁটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলি। এই অবস্থায় মোদি সরকারের রক্তচাপ বাড়িয়ে অন্নদাতাদের ডাক, মোদিকে নয়, ভোটে জেতান ইন্ডিয়া শিবিরের প্রার্থীদের। নির্দিষ্টভাবে কোনও দলের প্রতি সমর্থন না জানিয়েও কিসান মোর্চা বিজেপিকে নির্মূল করার ডাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন-একমাত্র আমাদের মুখ্যমন্ত্রীই পারেন এনআরসি আটকাতে
ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটের আবহে কৃষক সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে। চলছে লিফলেট, হ্যান্ডবিল বিলি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এলাকার মানুষের কাছে সর্বভারতীয় কৃষক নেতাদের আর্জি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে সরিয়ে একটি বিকল্প গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ক্ষমতা গড়ে তুলুন। নাহলে কৃষক এবং শ্রমিক-কর্মচারী তো বটেই, এমনকী সাধারণ মানুষের জীবনও ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে। কৃষকদের এই লাগাতার প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে, মোদি সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার কাহিনি। কীভাবে কৃষকদের নাম করে মিথ্যাচার করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, বলা হচ্ছে তাও। বিশেষত, কিসান মোর্চার মূল দাবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে (এমএসপি) আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি। যে ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করেনি কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে কৃষক ক্ষোভ যেভাবে দানা বাঁধতে শুরু করেছে তাতে প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর জোড়া সভা হাবিবপুর ও সুজাপুরে
সংযুক্ত কিসান মোর্চার ঘোষণা, তারা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে সওয়াল করবে না। শুধুমাত্র বিজেপিকে হারানোর দাবিতে সরব হবে। যে কেন্দ্রে যে দল বিজেপিকে হারাতে সক্ষম সেই দলের প্রার্থীকে জেতানোর কথা বলছেন কৃষক নেতারা। বলা হচ্ছে, ‘এক্সপোজ বিজেপি, পানিশ বিজেপি।’ তবে বিভিন্ন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনকে রাজনৈতিক ‘মঞ্চ’ ব্যবহারে ছাড় দিয়ে রেখেছে তারা। সেইমতোই দেশের নির্বাচনী আবহে সরাসরি ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্ষোভরত সারা ভারত কিসান সভা, সারা ভারত কিসান মহাসভা, ক্রান্তিকারী কিসান ইউনিয়ন। সবারই মূল দাবি
এক। বিজেপি হঠাও, কৃষক ও দেশ বাঁচাও।