প্রতিবেদন : চিপকের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে (KKR vs CSK) হারানো বেশ কঠিন কাজ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের হারানোর কিছু ছিল না। প্লে-অফে যাওয়ার ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হত। সেই কাজটা সহজেই করল কেকেআর। জয়ের জন্য সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য। চিপকের মন্থর উইকেটে রানটা খুব কম নয়। তার উপর দীপক চাহারের অনবদ্য বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ জিতল নাইট ব্রিগেড। রান তাড়া করে আরও একটা ম্যাচে দলকে জেতালেন রিঙ্কু। রান আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৫৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এদিন তাঁকে সঙ্গ দেন নীতীশ রানা। নাইট অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৫৭ রান করে। দুই বাঁ-হাতির হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে কেকেআর ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের দৌড়ে কোনক্রমে ভেসে রইল। ম্যাচের সেরা হয়ে রিঙ্কু বললেন, ‘‘নীতীশ বলেছিল, কঠিন উইকেট। আলগা বলের জন্য অপেক্ষা করতে। আমার সাফল্যের পিছনে শুধুই পরিশ্রম। আর কিছু নয়।’’ যদিও এদিন নাইটদের জয়ে দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিনের অবদান কম নয়।
চিপকে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সিএসকে (KKR vs CSK)। প্লে-অফের জন্য তাদের অপেক্ষা বাড়ল দিল্লির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ পর্যন্ত। ম্যাচের পর সবার নজর ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দিকে। সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে র্যাকেট হাতে টেনিস বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দর্শকদের অভিবাদন জানালেন ধোনি। আরও কতদিন তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন কেউ জানে না! ম্যাচ শেষে আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হল। সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি ছুটে এসে ধোনির অটোগ্রাফ নিলেন। গ্রাউন্ড স্টাফ, চিত্রসাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে টি-শার্টের উপর ধোনির সই নিলেন। ম্যাচের শুরুটাও হয়েছিল ধোনি-আবেগের মধ্যে।
আরও পড়ুন-সফল উৎক্ষেপণ ব্রহ্মসের
গ্যালারিতে ‘জয় ধোনি’ স্লোগানের মধ্যেই টসে জিতে ঘরের মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমেছিল সিএসকে। কিন্তু ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের ওপেনিং জুটিতে ভাল শুরু করেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সিএসকে। এমনিতে চিপকের চেনা উইকেট নিয়েও চেন্নাই শিবিরে আশা-আশঙ্কার দোলাচল থাকে। ম্যাচ শুরুর আগেই ক্যাপ্টেন কুলের গলায় উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছিল। ধোনি বলেছিলেন, ‘‘উইকেট নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা আমাদের মধ্যে রয়েছে। আসলে টুর্নামেন্ট যত এগোয়, চিপকের পিচ ক্রমশ মন্থর হতে থাকে।’’
মন্থর উইকেটকে কাজে লাগিয়েই সিএসকে-র ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরান দুই নাইট স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন। অবশেষে ক্যারিবিয়ান রহস্য-স্পিনারকে চেনা ছন্দে দেখা গেল। ঋতুরাজ (১৭) ও আজিঙ্ক রাহানেকে (১৬) ডাগ-আউটের রাস্তা দেখান বরুণ। কনওয়ের (৩০) উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। আম্বাতি রায়াডু ও মইন আলিকে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন নারিন। ৭২/৫ হয়ে যাওয়ার পর চেন্নাইকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন শিবম দুবে (৩৪ বলে ৪৮) ও রবীন্দ্র জাদেজা (২০)। কঠিন উইকেটে দু’জনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ওঠে ৬৮ রান। জাদেজা আউট হওয়ার পর শেষ ওভারের শেষ তিন বল খেলেন ধোনি। চিপকে তাঁর সম্ভাব্য শেষ ম্যাচে ২ রানের বেশি করতে পারেননি ক্যাপ্টেন কুল।