প্রতিবেদন : একটা দলের ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়। অন্য দলের পাঁচ ম্যাচে চার জয়। অতঃপর ১০ আর ৮ পয়েন্টে থাকা এই দুই দল যে আইপিএল টেবলের উপরে থাকবে, সেটা জানার জন্য রকেট সায়েন্সের দরকার পড়ে না।
মঙ্গলবার এমন এক আবহে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। এক আর দুইয়ের লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছে বৈশাখের তপ্ত আবহাওয়া। তুলনায় ক্রিকেট উত্তাপ কিঞ্চিৎ কম। রবিবার লখনউ ম্যাচে ইডেন পুরো ভরেনি। রাজস্থান ম্যাচেও পরিস্থিতি বদলেছে বলে খবর নেই। শুধু স্বস্তি এটা রাতের ম্যাচ। গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে দর্শকদের।
আরও পড়ুন-অন্যদের যাঁরা ভোট দিতেন, তাঁরা এবার তৃণমূলকেই দেবেন, জলপাইগুড়িতে প্রার্থীকে নিয়ে কুণাল-জয়প্রকাশ
রাজস্থানের নেট রানরেট +০.৭৬৭। কেকেআরের +১.৬৮৮। এই এক তথ্যই বলে দিচ্ছে দুটো দল গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে। তার উপর সঞ্জু স্যামসনরা শেষ ম্যাচে জিতে কলকাতায় এসেছেন। শ্রেয়স আইয়ারের দলও রবিবার জিতেই ফের ইডেনে নামছে। তার উপর হোম ম্যাচ। তবে গৌতম গম্ভীর বলেছেন হোম ম্যাচ বলে বিশেষ কোনও সুবিধা নেই। চ্যাম্পিয়ন হতে গেল সর্বত্র জিততে হবে। সব জায়গায় ভাল খেলতে হবে।
এরকমই একটা ম্যাচ গেল নববর্ষে। ক্লিনিক্যাল পারফরম্যান্স। ব্যাটে-বলে এবং রামনদীপ সিংয়ের কথা ধরলে ফিল্ডিংয়ে নাইটরা লখনউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। ফিল সল্ট শুরু থেকে বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। পরে শ্রেয়সের সঙ্গে শতাধিক রানের পার্টনারশিপ খেলেছেন। পরিস্থিতি এমন হল যে, রাসেল আর রিঙ্কু ব্যাট করার সুযোগই পাননি। টি-২০ বিশ্বকাপ মাথায় রাখলে রিঙ্কুকে আইপিএলে রান করতে হবে। কিন্তু টপ অর্ডার এমন খেলে দিলে বেচারা কোথায় নামবেন!
আরও পড়ুন-তমলুকে এবার ভাল ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস, চপার-কাণ্ডে আইনি পদক্ষেপ করবেন অভিষেক
হর্ষিত আগের ম্যাচে খেললেও নীতীশ রানাকে পেতে আরও দু’-একটি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে। মুশকিল হচ্ছে যে তিনে নীতীশের জায়গায় নেমে অঙ্গকৃষ রাজবংশী অভিষেক ম্যাচে যে ক্যামিও করেছিলেন, সেটা টেনে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। রবিবার স্রেফ ৭ রান করে মহসিনের বলে ফিরে যান কেকেআরের তরুণ তুর্কি। এই একটা কাঁটা নাইটদের রয়েছে। মঙ্গলবার তিনে অন্য কাউকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
মিচেল স্টার্ককে নিয়েও চাপ ছিল। কিন্তু তিনি সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। আগের ম্যাচে ইডেনের স্লো উইকেটে যেভাবে গতির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই ম্যাচেও স্টার্ক এবং নারিন রাজস্থান ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে থাকবেন। এক অ্যাকশনে নারিনের উল্টো ডেলিভারি ধরতেই পারছেন না ব্যাটাররা। সঞ্জু, বাটলার সাবধান হতে পারেন, এই অস্ত্রের সামনে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন-প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ‘খেলাটা’ চালিয়েই যাচ্ছেন মোদি! এবার ২১ জন প্রাক্তনের চিঠি
রাজস্থান দলটা এবার দারুণ ছুটছে। উপরে সঞ্জু, বাটলার, রিয়ান পরাগরা বোর্ডে রান তুলে দিচ্ছেন। তারপর সেটা ডিফেন্ড করতে চাহাল আছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো স্পিনার আছেন। ইডেনে উইকেট পরের দিকে আরও স্লো হয়ে যাচ্ছে। স্লো উইকেটে চাহাল ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারেন। নাইটদের জন্য তিনি তাই শক্ত চ্যালেঞ্জ।