মুম্বই, ৩০ মার্চ : শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। রাসেলের প্রথম দু’বলে ছয় আর চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দিলেন দীনেশ কার্তিক।
সেই কার্তিক, যিনি এভাবেই ম্যাচ শেষ করে আসেন। তবু ফিনিশার বলে কোথাও স্বীকৃতি নেই। কেকেআর তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়েছে। দল থেকেও। তবে আরসিবি তাঁকে দু’হাত বাড়িয়ে দলে টেনেছে। কার্তিক এদিন ৭ বলে ১৪ রান করে কেকেআরের হাত থেকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন।
আরও পড়ুন-ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা? অনাস্থা বড় শরিকের সেনাপ্রধানের দ্বারস্থ ইমরান খান
বিরাট (১২) যখন জ্যাকসনকে এজ দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, আরসিবি ১৭-৩। ১২৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ফিরেছেন রাওয়াত (১) ও ডুপ্লেসি (৫)। তারপর বিরাট। উমেশ যাদব আগের দিনের মতোই আগুন ঝরাচ্ছেন। উইলি(১৮) আর রাদারফোর্ড (২৮) এরপর ৪৫ রানের যে পার্টনারশিপটা খেললেন, তাতেই আরসিবি ম্যাচে ফিরেছে। তবে পাঁচে এসে ২০ বলে ২৭ রানের যে ইনিংস শাহবাজ আমেদ খেলে গেলেন, সেটাই পার্থক্য গড়ে দিল। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনিই ম্যাচের সেরা। চার বল বাকি রেখে আরসিবি জিতল তিন উইকেটে।
কেকেআরের বড় সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। মরুদেশের ছবিটা এখানেও প্রকট হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে অনায়াস জয়। তারপর শোচনীয় ব্যাটিং ও নাটকীয় হার।
আরও পড়ুন-বাংলাকে অসম্মানিত করতে তৎপর এক দল জনবিরোধী মুখ
রাহানে(৯) আবার ব্যর্থ হলেন। কিন্তু একা তাঁর দিকে আঙুল তুললে হবে না। টপ থেকে মিডল অর্ডার, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল নাইটদের ব্যাটিং। ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আইপিএলই হয়, অন্য কিছু নয়। এই উইকেটে লুকনো পেস আছে। বাউন্সও। এটাই সম্বল করে কেকেআর ব্যাটিংকে ভাঙলেন আকাশদীপ আর ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। নাইট ইনিংসে সবথেকে বেশি রান রাসেলের। ১৮ বলে ২৫। কিন্তু তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এবারও ধাঁধাই থাকছে! না হলে এত পিছিয়ে আট নম্বরে আসবেন কেন? চোটের জন্য? কিন্তু দলের সেরা স্ট্রাইকারকেই তো বেশি বল দিতে হয়।
আরও পড়ুন-বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন, দেশজুড়ে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ঘোষণা বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
ভেঙ্কটেশ ১০, শ্রেয়স ১৩, রানা ১০, নারিন ১২, বিলিংস ১৪, নাইটদের ইনিংসে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। না হলে ৬৭ রানে আধ ডজন উইকেট চলে যায় না। আরসিবিতে এবার বঙ্গ রঞ্জি দলের দুই ক্রিকেটারকে দেখা যাচ্ছে। শাহবাজ পুরনো মুখ। কিন্তু আকাশদীপ প্রাপ্য সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৪৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে গেলেন। শাহবাজের একটি উইকেট। তবে কেকেআর ব্যাটিংকে যদি কেউ খাদের কিনারে ঠেলে দিয়ে থাকেন, তিনি সিংহলি লেগস্পিনার হাসরাঙ্গা। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট। গোটা দুয়েক বাউন্ডারি গলানো ছাড়া হাসরাঙ্গা কামাল করেছেন। মূলত তাঁর জন্যই ১৮.৫ ওভারে ১২৮ রানে ইনিংস শেষ হয়েছে কেকেআরের।