অভিরূপ ভট্টাচার্য : কলকাতায় পুরভোটের (KMC Elections) কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের নাগরিক সমাজ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। যাঁদের মাধ্যমে আগামী ৫ বছর তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে পরিষেবা। করোনাকালে পুর নির্বাচনে নাগরিক সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবার থেকে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ডোজ মিলিয়ে এদিন টিকা নিয়েছেন ১১০০ জন।
আরও পড়ুন-Swasthya Sathi: চাঁচলে ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীতে
গত জনগণনা অনুযায়ী কলকাতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের সংখ্যা ৪০ লাখ। এরমধ্যে দুটি ডোজ পেয়েছেন ৩৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫৩ জন। আগেই জানানো হয়েছিল, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করবে কমিশন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের মতো পুরনির্বাচনেও (KMC Elections) বুথের বাইরে ভোটদাতাদের তাপমাত্রা মাপতে নিযুক্ত থাকবেন কর্মী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বুথেই ভোটদাতাদের জ্বর মাপা হবে। জ্বর বা অন্য কোনও লক্ষণ না থাকলেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি মিলবে। আর এর জন্য প্রায় ৫০০০ কর্মী নিয়োগ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুরসভার নির্বাচন পর্বের আগে আইনশৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভােটকর্মীরা করোনাবিধি মেনে ভোট নিয়েছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে ভােটকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও পাঠিয়েও দিয়েছেন। কমিশন চায় মানুষ নিরাপদে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন।