প্রতিবেদন : নিউমার্কেট চত্বরের হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এবার মার্কেটের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের ডেকে সমস্যার সমাধান করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দিলেন হকার নিয়ন্ত্রণের সমাধানসূত্র। বুধবার নিউমার্কেট চত্বরে হকার নিয়ন্ত্রণে একবেলা মার্কেট বন্ধ রেখে জমায়েত করে বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের সংগঠন জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশন। অবশেষে কলকাতা পুরসভা ও মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে ওঠে ধর্মঘট।
আরও পড়ুন-কাল সুপার কাপ ডার্বি মেজাজে কুয়াদ্রাত, খাটছেন হাবাস
মেয়রের কথায় আশ্বস্ত হয়ে ফেরেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বুধবার বেট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্যালেস, ফিনিক বাজার স্ট্রিট, লিন্ডসে স্ট্রিট-সহ গোটা নিউমার্কেট চত্বরে হকারদের বেলাগাম দৌরাত্ম্যে রাশ টানতে মার্কেট বন্ধ রেখে ধর্মঘটে বসে স্থায়ী দোকানের সংগঠন। সিমপার্ক চত্বরে হয় জমায়েত ও মিছিল। ইতিমধ্যেই মার্কেট চত্বরে হকার নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেইসব পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে এবং আরও পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ধর্মঘট-জমায়েত করে জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশন। এদিন দুপুরে পুরসভায় এসে মেয়র ফিরহাদ হাকিম সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডেকে কথা বলেন। সেখানেই মেয়রের কাছে মার্কেট এলাকায় পিচের রাস্তা ফাঁকা করা, ফুটপাথের এক-তৃতীয়াংশেই হকারদের জায়গা দেওয়া-সহ পাঁচটি দাবি জানায় তাঁরা।
আরও পড়ুন-উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষা ভারতের, স্টিমাচের অস্ত্র আজ আক্রমণ
প্রসঙ্গত, তাঁদের তরফে জানানোর আগেই দাবিগুলি নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সাক্ষাৎ শেষে সংগঠনের স্থায়ী ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, মেয়র নিজেই আমাদের ডেকে পাঠিয়ে দেখা করেন। আমরা পাঁচটি দাবি জানাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলি কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। আমরা খুব খুশি। সরকার ও পুরসভা আইনি হকারদের জন্য অনেক কিছু করছে। এই সাক্ষাতের পরেই মিছিলের মাধ্যমে উঠে যায় ধর্মঘট। খুলে যায় নিউমার্কেট। এই নিয়ে হকার পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, স্থায়ী ব্যবসায়ীরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের ধর্মঘটও তাঁরা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমেই যেকোনও সমস্যার সমাধান হয়। তাই আলোচনার পথ সবসময় খোলা রাখা উচিত।