চেন্নাই, ২৭ মে : উৎসবের শুরুটা হয়েছিল চিপকের ২২ গজে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাট থেকে জয়সূচক রান আসতেই মাঠে ঢুকে পড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংয়েরা। সেই উৎসবের রেশ বজায় রইল হোটেলে ফেরার পরেও।
আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের জন্য টিম হোটেলে রাখা ছিল একটি বিশাল কেক। ট্রফি হাতে হোটেলে ঢোকেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি প্রথমেই কেকের পাশে আইপিএল ট্রফিটা রেখে দেন। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন কেকেআরের বাকি ক্রিকেটাররা। শ্রেয়স-সহ প্রতিটি ক্রিকেটারের গায়ে ছিল ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা টি-শার্ট।
আরও পড়ুন-দু’লক্ষ মানুষকে ১৪০০ শিবিরে সরানো হয়েছে, ভয় পাবেন না: বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এরপর কেকে কাটেন শ্রেয়স ও সুনীল নারিনরা। তার পরেই শুরু হয়ে যায় একে অন্যকে কেক মাখিয়ে উৎসব পালন। সেই সময় ট্রফি নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে শ্রেয়সকে। ঘন ঘন স্লোগান উঠেছে ‘কেকেআর’, ‘কেকেআর’। একটু পরেই শুরু শ্যাম্পেনের বোতল খুলে সেলিব্রেশন। একে অন্যের মাথায় শ্যাপেন ঢালতে দেখা গিয়েছে শ্রেয়সদের। আর এই উৎসব গড়িয়েছে রাত দুটো পর্যন্ত। কেকেআর শিবিরের প্রত্যেক সদস্যই শামিল হন এই উৎসবে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়ে আক্ষরিক
অর্থেই আবেগে ভেসে গিয়েছেন নাইটরা। ১০ বছরের ট্রফি-খরা মেটানোর তৃপ্তির ছাপ ছিল প্রতিটি ক্রিকেটারের শরীরী ভাষায়।
আরও পড়ুন-দুর্যোগের মাঝেও কলকাতায় ‘ড্রোন শো’র আয়োজন বিজেপির,সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস
তবে এই উৎসবের শুরুটা হয়েছিল মাঠেই। জয়ের পরেই মাঠে ঢুকে পড়েন শাহরুখ খান। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী গৌরী এবং দুই ছেলে আরিয়ান ও আব্রাম এবং মেয়ে সুহানা। মাঠ প্রদক্ষিণের পাশাপাশি শ্রেয়স, গম্ভীরদের আদর করতে দেখা গেছে শাহরুখকে। এরপর ড্রেসিংরুমে ফিরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে বিজয় উৎসব। রিঙ্কু, ভেঙ্কটেশ, রাসেল-সহ প্রায় প্রতিটি ক্রিকেটার ট্রফি নিয়ে সেলফি তোলেন। মাঠকর্মীদেরও ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা টি-শার্ট উপহার দেন শ্রেয়সরা। সেই সময় ড্রেসিংরুমে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ ও জুহি চাওলাও। এরপর টিম বাসে চেপে স্টেডিয়াম ছাড়েন শ্রেয়সরা। হোটেলে ফিরেও চলে উৎসব। এক কথায়, রবিবার রাতটা ছিল নাইটদের।