দেবনীল সাহা: ২০২১ সালের পর থেকে ক্রমশ রঙিন হয়ে উঠছে শহর কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই ২০২১ থেকেই ধাপে ধাপে শহরের সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। শুধুমাত্র উৎসবের দিনই নয়, তিলোত্তমার বিভিন্ন এলাকায় এখন আলোর রোশনাই থাকছে বছরভর। কিন্তু সেই অনুপাতে বিদ্যুতের বিল বাড়ছে কি? একদমই না।
শেষ কয়েকবছরে বিদ্যুতের বিলে লাগাম পরানোয় অসামান্য সাফল্য পেয়েছে পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ। দিনের পর দিন শহরের মানুষকে ঝলমলে কলকাতা উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলেও কোটি কোটি টাকা বাঁচাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু কোন উপায়ে আসছে এই সাফল্য? শহর জুড়ে ধাপে ধাপে হ্যালোজেন লাইটের পরিবর্তে এলইডি আলোর দিকে ঝুঁকছে পুরসভা। আর তাতেই বিদ্যুতের বিল বাড়ার বদলে বছরে কোটি কোটি টাকা বাঁচছে। পুরসভার আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সি জানালেন, আগে যখন শহর সাজানোর জন্য আমরা হ্যালোজেন আলো ব্যবহার করতাম তখন প্রতিমাসে শুধুমাত্র আলোর জন্যই সিইএসসিকে ১২-১৪ কোটি টাকা দিতে হত। কিন্তু ২০২১ সালে নয়া পুরবোর্ড গঠন হওয়ার পর শহর সাজাতে আমরা হ্যালোজেনের জায়গায় এলইডি আলো ব্যবহার করছি। ফলে এখন শুধু আলোর খরচ হিসেবে প্রতিমাসে পুরসভার খরচ কমে দাঁড়িয়েছে ৮-১০ কোটি টাকা। বছরের শেষে বিদ্যুৎ বিভাগের কোষাগারে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা বাঁচছে।
আরও পড়ুন-চোখের আলোয় উদ্ভাসিত কবিগুরুর বাড়ি
গত ২ বছর ধরে এইভাবেই শহরকে আরও ঝলমলে আলোয় সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি রীতিমতো সাশ্রয়ীও হয়েছে কলকাতা পুরসভা। সন্দীপ বক্সি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ধাপে ধাপে শহরকে আরও ঝলমলে করে তুলছি। তবে বিদ্যুতের খরচটাও মাথায় রাখতে হয়। উৎসবের মরশুমে ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গাকে রঙিন আলোর চাদরে মুড়লেও ক্রমাগত খরচ কমানোর চেষ্টায় থাকে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাই এই এলইডি’র ব্যবহার। তবে এখনও শহরের সব জায়গায় হ্যালোজেনের পরিবর্তে এলইডি লাগানো সম্ভব হয়নি। ধাপে ধাপে এই কাজ সারছে কলকাতা পুরসভা।