প্রতিবেদন : লক্ষ্য পুজোর উৎসবে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মহানগরীর সমগ্রিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে অনেকটা দূরের দিকে তাকিয়েই বিশেষ কিছু পরিকল্পনা রূপায়ণের পথে কলকাতা পুলিশ। আসন্ন পুজোর দিনগুলিতে যার অনেকটাই প্রতিফলিত হবে কলকাতার বুকে। প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নিজেদের আপডেট করে নিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন- দুই ছবি আফগানিস্তানে একদিকে সন্ত্রাস, অন্যদিকে প্রতিরোধ
পুলিশ সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে বাজেটের অঙ্ক প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক বম্ব অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ডিটেক্টরস। এর মধ্যে আছে নন-লিনিয়ার জাংশন ডিটেক্টরস (এনএলজেডি) এবং এক্সপ্লোসিভ ভেপার ডিটেক্টরস (ইভিডি)। কেনা হচ্ছে ৭টি এনএলজেডি। যার দাম পড়বে প্রায় ১ কোটি টাকা। ইলেক্ট্রনিক্স— যা রেডিয়েটিং হতেও পারে, না-ও হতে পারে, নিমেষের মধ্যে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এই প্রযুক্তিতে। ইভিডি কেনা হচ্ছে ৯টি। এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড ইমপ্রোভাইসড মেটিরিয়ালস ডিটেক্টর-সহ। ভিড়ের মধ্যে সাত সেকেন্ডের কম সময়ে ভেপার, প্লাস্টিক বিস্ফোরক খুঁজে বের করে চিহ্নিত করতে এই প্রযুক্তি অনবদ্য। এই খাতে খরচ হবে প্রায় ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-নেহরু ‘আদর্শ’ নেতা বললেন বিজেপির মন্ত্রী
মূলত ভিভিআইপি জোনে নিরাপত্তার জন্য এই অত্যাধুনিক সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় পুলিশের। আর পাঁচটা দিনে তো বটেই, পুজোর মরশুমে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকায় থাকেন মহিলা পুলিশ অফিসার-কর্মীরা। দিনরাত এক করে তাঁদের সামাল দিতে হয় ঠাকুর দেখার ভিড়। অবশ্যই সতর্ক নজর রাখতে হয় অপরাধ-প্রবণতার ওপরে। কিন্তু একটানা দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় ডিউটি করতে গিয়ে মহিলা হিসেবে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কোভিড আবহে।
তাই মূলত তাঁদের কথা ভেবেই মোট ৩২টি নতুন অত্যাধুনিক সুবিধেযুক্ত মোবাইল ভ্যান রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কী কী থাকছে এতে? বায়ো-টয়লেট, চেঞ্জিং রুম এবং কিচেন— রাস্তায় কর্তব্যরত মহিলা পুলিশের কাছে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ২৫ সিটের মিনিবাসকে এই ধরনের মোবাইল ইউনিটে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়েছে— এমনই পরিকল্পনা। এরজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির অন্যান্য সাজসরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি কেনার জন্যও ডাকা হয়েছে টেন্ডার। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ নেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।