অনুরাধা রায়: বাসন্তীকে ডেরায় এনে গব্বর নাচ দেখাতে বলল না। বরং চড়া গলায় চাইছে ওটিপি। হাত বাঁধা অবস্থায় বীরু সাবধান করছেন ‘‘খবরদার ওটিপি বলো না”। আবার কখনও ‘কেজিএফ চ্যাপটার টু’ হিরো যশ ‘কসন ডেঞ্জার’ পোস্টার নিয়ে হাজির। নিচে লেখা, ‘আই ডোন্ট লাইক, আই অ্যাভয়েড’ ওপরে লেখা ওটিপি।
আরও পড়ুন-পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই
জনপ্রিয় অভিনেতা রাজকুমার সতর্ক করছেন, ‘অচেনা অ্যাপস থেকে সাবধান।’ পরপর হিন্দি কিংবা দক্ষিণী ছবির দৃশ্য। আর তাতেই প্রতারণা থেকে বাঁচতে মজার ছলে সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সৌজন্যে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ। ওটিপি, বারকোড শব্দগুলি এখন সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হলেও প্রতারকরা এই চেনা শব্দের আড়ালে ফেঁদে রেখেছে অচেনা ফাঁদ। অতি বুদ্ধিমান ব্যক্তিও যা ধরতে পারছেন না। আর দুষ্টুলোকের ছলে পড়ে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। পুলিশ বারবার সতর্ক করছে। সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তবুও মানুষ পা দিচ্ছেন প্রতারকদের ফাঁদে।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে বিনা লড়াইয়ে জেতা যাবে না : উদয়ন
প্রতারণার চক্রব্যূহ থেকে সাধারণ মানুষকে বের করতেই অভিনব উপায় বের করেছে কলকাতা পুলিশ। এর জন্য তারা ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। পুলিশের ফেসবুকে মজার মজার জোকস কিংবা ছবির সংলাপ। প্রতারণা থেকে বাঁচাতে শুধু নয়, ধূমপান না করার বার্তা, পথ দুর্ঘটনার সতর্কতার বার্তাও রয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই প্রচার নিয়ে সাউথ ট্রাফিক গার্ড সার্জেন্ট দীপ্তিময় ঘোষ বলেন, ‘‘কঠিন জ্ঞানের থেকে মিম দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”