আলোয় ভাসল মহানগরী

Must read

প্রতিবেদন : অমাবস্যা পড়ে গেছে বৃহস্পতিবার ভোরেই। সেই অনুযায়ী শক্তির আরাধনার শুরু সকাল থেকেই। তবে কালীপুজো যেহেতু নিশুতি রাতের পুজো তাই বেশিরভাগ জায়গায় পুজো বসেছে অন্ধকার গাঢ় হওয়ার পরেই। ততক্ষণে আলোর রোশনাইতে ভেসে গেছে মহানগরী। দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো এবং দেওয়ালির পুজো অবশ্য ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যায় সকাল থেকেই। ভোর থেকেই লাইন পড়ে যায় দক্ষিণেশ্বর এবং কালীঘাটে। পূজোর ডালা হাতে ভক্তরা অপেক্ষা করেন যথাসম্ভব কোভিডবিধি মেনেই।

আরও পড়ুন-আলোয় ভাসল মহানগরী

কলেজ স্ট্রিটের ঠনঠনে কালীবাড়ি, বউবাজারের ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, লেক কালীবাড়িতেও চোখে পড়ে উৎসাহীদের ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে অন্যান্যবারের মতোই এবারেও পুজো হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। শহরের নামী বারোয়ারি পুজোমণ্ডপগুলিতে সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের উদ্দীপনা। কেশব সেন স্ট্রিটের নবযুবক সঙ্ঘ, রাজা রামমোহন সরণিতে সোমেন মিত্রর স্মৃতিবিজড়িত সার্বজনীন কালীপুজো, মহম্মদ আলি পার্কে ভিড় বাড়তে থাকলেও কোভিড সুরক্ষা বিধির ব্যাপারে উদ্যোক্তারা ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। অনেক মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক নেতারা এদিন ছিলেন জনসংযোগে ব্যস্ত। দীপাবলি উদযাপন করেন সেলিব্রিটিরাও। রাস্তায় নিষিদ্ধ বাজি এবং কোভিডবিধির ব্যাপারে কড়া নজরদারির পাশাপাশি মানুষকে সতর্ক করার ব্যাপারেও বিশেষ জোর দেয় পুলিশ।
অনেক জায়গাতেই স্যানিটাইজার এবং মাস্ক তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। গত বছরের মন্দার পরে এবারে কলকাতার আলোকমালায় ফের প্রতিফলিত হল চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের সৃজনশীলতা। আলোকসজ্জায় উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনপ্রিয় সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের নজিরবিহীন সাফল্য।

Latest article